
নিউজ ডেস্ক :: চুরি হওয়া গহনা পরে টিকটক করছিলেন স্ত্রী। সেটি দেখে তার স্বামী মো. সোহেল মিয়াকে (২৯) গ্রেফতার করে দেবিদ্বার থানা পুলিশ।
বুধবার (২ জুলাই) ভোরে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. সোহেল মিয়া কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চন্দ্রনাইল গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রবের ছেলে।
দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, মো. সোহেল মিয়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে এলাকার সোনার দোকান চিহ্নিত করে তার সিন্ডিকেটের সহায়তায় চুরি করে আসছিলেন। তার স্ত্রী শাহীন আক্তার শাহীন টিকটক করতেন। সোহেলের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে দেখা যায়, তার স্ত্রী ওই চুরি করা সোনার গহনা পরে টিকটক করছিলেন। পরে অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৬ মে দেবিদ্বার নিউমার্কেট কলেজ রোডের বারেক প্লাজার পূর্ব গলির খাদিজা শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. জাকির হোসেন জুমার নামাজ শেষে দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন তার দোকানের তালা নেই। ভেতরে ঢুকে দেখেন শো-কেসের ভেতর প্রায় ৪০ ভরি সোনার গহনা চুরি হয়ে গেছে।
ওই দিন সন্ধ্যায় চুরি করা সোনা কুমিল্লার ইপিজেডের একটি দোকানে বিক্রি করতে গিয়ে আবু তাহের (৩০) ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৫) পুলিশের হাতে আটক হন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুরাদনগর থেকে আটক হন সোনা চোর সিন্ডিকেটের প্রধান আবুল কাসেম। আদালতে তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে ওই চোর সিন্ডিকেটের অপর সদস্য মো. সোহেল মিয়ার নাম।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, সোহেলসহ সোনা চোরাচালানি চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হবে।