ঢাকাবুধবার , ৯ জুলাই ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল মোহামেডান ক্লাব পুন*রু*দ্ধা*রে ক*ঠো*র আ*ন্দো*লনের হুঁ*শি*য়া*রী

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ৯, ২০২৫ ৭:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

অনলাইন ডেস্ক :: বরিশাল মোহামেডান ক্লাব পুনরুদ্ধারে আন্দোলনে নেমেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও মাঠ রক্ষা কমিটি। ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি গভীর রাতে বিনা নোটিসে সিটি করপোরেশনের লোকজন বুলডোজার দিয়ে ঐতিহ্যবাহী স্পোর্টিং ক্লাবটি গুঁড়িয়ে দেয়। এরপর নানা আন্দোলন সংগ্রাম করেও ক্লাবটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি আবারও ক্লাবটি পুনরুদ্ধারে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব পুনঃগঠন কমিটি।

রবিবার (৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহামেডান ক্লাব রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এবায়েদুল হক চাঁন ও সদস্য সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান।

জানা গেছে- ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি গভীর রাতে বিনা নোটিসে বুলডোজার দিয়ে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবটি গুঁড়িয়ে দেয় বরিশাল সিটি করপোরেশন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাগরণের প্রতীক এই ক্লাবটি। স্বাধীনতার পর বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ক্রীড়া উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১৯৩৭ সালে তৎকালীন জমিদার সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর ছেলে সৈয়দ ফজলে রাব্বী ক্লাবের জন্য সদর রোড মৌজায় ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। ওই জমিতে ১৯৪২ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং স্থাপিত হয়। পরবর্তী সময়ে দলিল বিএস পর্চা অনুযায়ী এই জমি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের অনুকূলে রেকর্ড হয়।

এদিকে রাতের আঁধারে গুড়িয়ে দেওয়ার সময় ক্লাবটির দলিলপত্র ও আসবাবপত্র লুট হয় বলে দাবি ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও পুনঃগঠন কমিটির নেতৃবৃন্দের। একই সঙ্গে তাদের ক্লাবটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় মোহামেডান ক্লাবের সদস্য ও ক্লাব পুনঃগঠন কমিটি কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারী দেন তারা।

এবায়েদুল হক চাঁন বলেন- বাংলার ব্রিটিশ শাসনকালে জাতীয় জাগরণের প্রতীক হিসেবে এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ১৯৩৭ সালে জমিদার সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী সাহেবের ছেলে সৈয়দ ফজলে রাব্বী নগরীর বর্তমান সদর রোডে বরিশাল মৌজায় ৩৩০ শতাংশ জমি দান করেন। ১৯৪০ সাল থেকে এই স্থানে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের খেলাধুলাসহ সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিলো। পরবর্তীতে দলীল সূত্রে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরবর্তীতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সেক্রেটারির অনুকূলে বিএস পর্চা অনুসারে নিজস্ব অধিকারভুক্ত হয়।

তিনি আরও বলেন- সেই ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তান আমলসহ বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরবর্তী বরিশালের ক্রীড়া অঙ্গনে এই ক্লাবটির অবদান অপরিসীম। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি রাতের আঁধারে গুড়িয়ে দিয়ে তৎকালিন সময় সফল হলেও তা আর দীর্ঘস্থায়ী হতে দেয়া যাবে না। আমাদের প্রিয় ক্লাবটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই। অন্যথায় মোহামেডান ক্লাবের সদস্য ও ক্লাব পুনঃগঠন কমিটি কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
মুসলিম ইনস্টিটিউট