
মো: আম্মার হোসেন আম্মান :: নারী—এই শব্দটি শুধু একটি লিঙ্গ পরিচয় নয়; এটি একটি ভালোবাসার আশ্রয়, একটি নিঃস্বার্থ সম্পর্কের নাম।
পুরুষ যতই শক্তিশালী হোক, যত বড় স্বপ্নের ভার কাঁধে রাখুক, নারীর ভালোবাসা, স্নেহ ও সাহচর্য ছাড়া তার জীবন কোনোদিনও পূর্ণতা পায় না। সেটা মা হোক, স্ত্রী হোক কিংবা কন্যা—নারীই একজন পুরুষের জীবনের শেকড়, ছায়া আর আশ্রয়।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নারীর ছায়া
একজন পুরুষ জন্মগ্রহণ করেন নারীর গর্ভে—একজন মা তাঁকে ধারণ করেন নয় মাস ধরে, বুকের দুধে বড় করে তোলেন।
শৈশবে বোন হয় খেলার সাথী, কৈশোরে মা হয় শিক্ষার প্রেরণা।
যৌবনে স্ত্রী হয় সঙ্গী, সুখ-দুঃখের অংশীদার।
আর বৃদ্ধ বয়সে কন্যাই হয় চোখের আলো, মনের প্রশান্তি।
নারীহীন পুরুষ কেবল দেহ মাত্র, প্রাণ নয়
“যেখানে নারীর ভালোবাসা নেই, সেখানে স্থিতি নেই, সেখানে শান্তি নেই।”
একজন সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর অবদান থাকে—এ কথা নতুন নয়।
মা তার উৎস, স্ত্রী তার উৎসাহ, আর কন্যা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপলব্ধি।
নারীর উপস্থিতিই পুরুষের মানবিকতা গড়ে তোলে
শুধু পারিবারিক পরিপূর্ণতাই নয়—নারীর সাহচর্যে পুরুষের ভেতর গড়ে ওঠে সহমর্মিতা, সংবেদনশীলতা এবং মানবিক মূল্যবোধ।
স্ত্রী পাশে থাকলে পুরুষ এগিয়ে যেতে পারে দুর্বার গতিতে, মা আশীর্বাদ হলে সে অন্ধকার থেকেও আলো খুঁজে পায়, আর কন্যা থাকলে সে দায়িত্ববান হয় নতুন প্রজন্ম গড়ার।
আজকের বাস্তবতায় নারীর প্রয়োজনীয়তা আরও প্রকট
বর্তমান সমাজে যখন মানসিক চাপ, একাকিত্ব এবং সম্পর্কহীনতার ছায়া নেমে এসেছে, তখন নারীর অস্তিত্ব পুরুষের জীবনে হয়ে উঠেছে আরও গুরুত্বপূর্ণ।
নারী কেবল প্রেমের অবজেক্ট নয়, বরং একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ, যিনি পুরুষের জীবনকে মানে দেন, অর্থ দেন, পূর্ণতা দেন।
নারী ছাড়া পুরুষ এক অসমাপ্ত গল্প
নারী ছাড়া পুরুষ যেন এক গাছ—যার শিকড় নেই।
তাই নারীকে অবহেলা নয়, শ্রদ্ধা করতে হবে; ভালোবাসা দিতে হবে।
কারণ এই পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী পুরুষটিও কোনো এক নারীর কোলে মাথা রেখে চোখের জল ফেলেন—কখনো সন্তানের মা হয়ে, কখনো সাথিরূপে, কখনো কন্যার কোমল হাতের ছোঁয়ায়।
—
“নারী ছাড়া পুরুষের জীবনে কখনোই পরিপূর্ণতা আসে না—সেটা মা হোক, স্ত্রী হোক, কিংবা কন্যা। নারীই পুরুষের জীবনের মূল সুর।”