ঢাকাবুধবার , ১৯ মার্চ ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফুসফুসের ক্যানসার কেন ভ*য়া*বহ রূপ নিচ্ছে : জানালেন বিজ্ঞানীরা 

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মার্চ ১৯, ২০২৫ ৭:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

লাইফস্টাইল ডেস্ক :: ফুসফুসের ক্যানসার কেন ভ*য়া*বহ রূপ নিচ্ছে : জানালেন বিজ্ঞানীরা।

ফুসফুসের ক্যানসার ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে এ দেশে। এর কারণ কেবল ধূমপান বা বাড়তে থাকা দূষণ নয়, ফুসফুসের ক্যানসারের আরও এক কারণ হল জিনের রাসায়নিক বদল। এমনই দাবি করেছেন চিকিৎসকেরা। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, ফুসফুসে এক বার ক্যানসার বাসা বাঁধলে তা কেমোথেরাপি বা রেডিয়োথেরাপিতেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এমনকি ক্যানসার খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। এর কারণই হল বিশেষ কিছু জিন।

 

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ ক্যাম্পাস, মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার সেন্টার এবং পুণের ওয়ান সেল ডায়াগনোসিস সেন্টারের চিকিৎসকেরা দীর্ঘ সময় ধরে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা ও সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, ফুসফুসের ক্যানসারে যাঁদের মৃত্যু হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশেরই শরীরে রয়েছে সেই বিশেষ কিছু জিন। ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ মেডিক্যাল অনকোলজি ওপেন’ নামক জার্নালে এই গবেষণার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

 

কোন জিনের কারসাজিতে দফারফা হচ্ছে ফুসফুস?

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিত দত্ত জানিয়েছেন, ‘এপিডারমাল গ্রোথ রিসেপ্টর ফ্যাক্টর জিন’ (ইজিএফআর)-এ এমন ‘জেনেটিক মিউটেশন’ বা রাসায়নিক বদল হচ্ছে, যা থেকে কোষের অনিয়মিত ও অস্বাভাবিক বিভাজন দেখা দিচ্ছে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি টিউমার কোষ তৈরি হচ্ছে, যা শ্বাসনালি অবধি ছড়িয়ে পড়ছে। আর এক বার ক্যানসার কোষ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে, তার গতি রোধ করা খুব মুশকিল। কেবল এখানেই শেষ নয়। আরও একটি জিনের রাসায়নিক বদল শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ৪৮৩ জন ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীকে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁদের ফুসফুসে ইজিএফআর জিন তো বটেই, পাশাপাশি ‘টিএসজি’ জিনেও বদল হচ্ছে। এই দুই জিনের রাসায়নিক বদলের কারণে ক্যানসার কোষ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

 

ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের শরীর থেকে নেওয়া নমুনার জিনগত বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, যাঁদের ফুসফুসে কেবল ‘ইজিএফআর’ জিনটি বদলাচ্ছে, তাঁরা সঠিক চিকিৎসায় থাকলে ৬ বছরের বেশি হয়তো বেঁচে থাকতে পারবেন। কিন্তু যাঁদের ‘ইজিএফআর’ ও ‘টিএসজি’— দু’টি জিনই বদলে যাচ্ছে, তাঁদের ঝুঁকি আরও বেশি। খুব বেশি হলে বেঁচে থাকার মেয়াদ ৫১ মাস। কী ভাবে এই দুই জিনের বদল ঠেকানো যায়, সে বিষয়ে গবেষণা এগিয়ে নিলে গেলেই এই মারণরোগকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।