ঢাকাশুক্রবার , ১৫ আগস্ট ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেবাচিম হাসপাতালের সামনে থেকে চি*হ্নি*ত রোগীর দালাল নুরুন্নাহার আ*ট*ক

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ১৫, ২০২৫ ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে ডায়াগনস্টিকের চিহ্নিত দালাল নুরুন্নাহারকে ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই আন্দোলনের মধ্যেও একটি রোগী বাগানোর চেষ্টার সময় হাতেনাতে আটক করা হয়।

এদিকে সিন্ডিকেট দমন, অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধ ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের দাবিতে বেশ কয়েকদিন যাবত আন্দোলন চলছে। অবাক করা ব্যাপার হলো শেবাচিমে ট্রলি ও ডায়াগনস্টিক সিন্ডিকেটের মূল হোতা নুরুন্নাহারও আন্দোলনকারীদের সাথে নিয়মিত স্লোগান দিত। নিজে হাসপাতালের কোন ধরনের স্টাফ না হয়েও সবার উপরে ছড়ি ঘোরানো এই নুরুন্নাহার সংস্কার আন্দোলনের নেত্রী হয়ে ওঠেন।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নুরুন্নাহারের অত্যাচারে রোগী ও স্বজনরাও অতিষ্ঠ। কর্মকর্তা কর্মচারীরা ভুয়া মামলার ভয়ে নুরুন্নাহারকে কিছু বলতে সাহস পায়না। শেবাচিমের সামনে অধিকাংশ ডায়াগনস্টিকের সাথে রয়েছে তার চুক্তি। ইমার্জেন্সিতে ট্রলিগুলো একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের হাতে সরাসরি ট্রলি সিন্ডিকেট ধরা পড়লে তখন রাজ স্বাক্ষী হয়ে যায় সুচতুর নুরুন্নাহার। নিজেকে বাঁচাতে ওয়ার্ড মাস্টারের নাম বলে আন্দোলনের মোর ঘুরিয়ে দেয় সে। এতে সহজেই আড়াল হয়ে যায় ট্রলি বাণিজের সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা। আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে মাঠে রাস্তায় নিয়মিত স্লোগান দিত নুরুন্নাহার। এতে একদিকে আন্দোলনের স্বকীয়তা হারাচ্ছে অন্যদিকে আসল অপরাধীরা ধরাছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। বিষয়টি টের পেয়ে এক পর্যায়ে নুরুন্নাহারকে স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন মহিউদ্দিন রনি।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ.কে.এম মশিউল মুনীর বলেন, এই নুরুন্নাহার অত্যন্ত ধুর্ত। সে অনেক রোগীর স্বজনের গায়ে পর্যন্ত হাত দিয়েছে। তার ব্যাপারে রোগীদের কাছ থেকে বিস্তর অভিযোগ পেয়েছি।