ঢাকাবুধবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অবৈধ টেন্ডার বাতিল করে প্রশংসিত প্রকৌশলী শহিদুল, সততার সঙ্গে কাজ করায় ষড়যন্ত্রের শিকার

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ ১০:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: অবৈধ টেন্ডার বাতিল করে প্রশংসিত প্রকৌশলী শহিদুল, সততার সঙ্গে কাজ করায় ষড়যন্ত্রের শিকার।

বরিশালের শতাধিক অবৈধ টেন্ডার বাতিল করায় বরিশাল শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম সর্ব মহলের প্রশংসা কুড়ালেও টার্গেট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল।

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম একজন নামাজী ও সৎ ব্যক্তি হওয়ায় ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পূর্বে তাকে জামাত ও বিএনপি বানাতো যারা অবৈধ স্বার্থ হাসিল করতে না পারতো সেই সব কুচক্রী মহল। এখন বেসিক সরকার পতন হওয়ার পর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম কে ফ্যাসিস্টের দালালের আখ্যা দেয় অবৈধ স্বার্থ হাসিলকারী একটি মহল যাহা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট।

বরিশাল শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সৎ নির্ভীক আদর্শবান অফিসার প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের থেকে অবৈধ পন্থায় অবৈধ স্বার্থ হাসিল করতে না পারায় তার নামে বিভিন্নভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত হয় একটি মহল।

বরিশাল শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম অবৈধ পন্থায় ম্যানেজ না হাওয়া এবং তার অধীনে বরিশাল শিক্ষা অধিদপ্তরে যে সকল উন্নয়নমূলক কাজ চলমান আছে এবং সমাপ্ত হয়েছে সেই সকল কাজ শতভাগ আদায় করা যেন কাল হয়ে দাঁড়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম আ’লীগ ফ্যাসিস্ট আমলে হয়ে ছিলেন অত্যাচার নির্যাতন ও জুলুমের শিকার। আ’লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার এর নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের পূর্বে বরিশাল শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকে নানানভাবে হয়রানি করতো।এমনকি মাঝে মাঝে প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকে জামাত-বিএনপির ট্যাগ দিয়ে হুমকি-ধাম কি দিত এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতো।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, কোন সময় নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি তাই তার বদলিও হতে হয়েছে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ফ্যাসিস্ট আ’লীগ সরকারের আমলে।৫ই আগস্ট এরপরে ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে ফের আবার সক্রিয় ফ্যাসিস্ট অনুসারীর একটি চক্র শহিদুল ইসলামকে নিয়ে নানান ভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বলে জানা যায়।

বরিশাল শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী চাকুরির জীবন শুরু থেকেই সততা নিষ্ঠা আদর্শবান অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন অধ্যবধি। এসব তথ্য পাওয়া যায় যেইসব জায়গায় প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম তার চাকুরী জীবনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সেই সকল এলাকার একাধিক ঠিকাদার ও সচেতন জনগণের থেকে।

প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম যে কয়টি জেলায় শিক্ষা অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তার দায়িত্ব পালন করার সময় যে সকল কাজ তার দায়িত্বে সমাপ্ত হয়েছে সে সকল কাজের গুণগতমান ছিল প্রশংসনীয়।কাজ উদ্ধারের ব্যাপারে প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ঠিকাদারদের সাথে আপস করেননি কখনো।শহিদুল ইসলাম এর একটাই কথা সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে আমি চেষ্টা করব শতভাগ সততার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করার। আমার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি আমি বিভিন্ন অন্যায় অবিচার নির্যাতন জুলুমের শিকারও হই তাও আমি মাথা পেতে মেনে নিব তারপরও আমি কোন অন্যায়কারীদের সাথে আপোষ করব না।

নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের বর্ণনাট্য সরকারি সার্ভিস জীবনে একটি পয়সাও অনৈতিকভাবে উপার্জন করেনি এবং উপার্জনের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে।প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম একজন নামাজী সৎ ব্যক্তি হিসেবে ইতিমধ্যেই তার কর্মস্থলের সকলের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ছাত্র জীবন থেকে প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ছাত্রলীগ, আ’লীগ বিরোধী মনোভাবী একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তার মেধা ও দক্ষতা দিয়ে তিনি এ পর্যন্ত এসেছেন।প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের জীবনে চাটুকারিতা ও মিথ্যা আশ্বাস দেয়ার মত কোন কিছু পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। সৎ থাকার কারনে প্রকৌশলী সহদুল ইসলাম বিভিন্ন কুচক্রী মহল থেকে বিভিন্ন সময় মিথ্যা অপপ্রচারে শিকার হয়েছেন। কিন্তু তার দপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা বৃন্দ তার সততা ও নিষ্ঠার ব্যাপারে জানার কারণে তার কোন ক্ষতি করতে পারেনি অপপ্রচারকারীরা।

নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বরিশালে যোগদানের পূর্বে ঝালকাঠি জেলা ও পটুয়াখালী জেলার শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে বরিশালে যোগদান করেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ২০ শে জুলাই ২০২৩ সালে বরিশালে যোগদান করার পর থেকে তার উপরে যে অর্পিত দায়িত্ব তা তিনি শতভাগ সততার সাথে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।সেই সাথে তিনি উন্নয়নমূলক কাজের গুণগতমান এবং ঠিকাদারদের থেকে শতভাগ কাজ বুঝে নেয়ার ব্যাপারে আপোষহীন।

বরিশাল বিভাগের শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলরাম কুমার মন্ডল এর কাছে জানতে চাওয়া হয় অনেক সময় দেখা যায় নির্বাহী প্রকৌশলীদেরকে ম্যানেজ না করতে পেরে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয় এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন তখন তিনি বলেন স্বার্থ হাসিল না হলে যারা অপপ্রচার চালায় তাদের অপপ্রচারে আমরা কোন ভ্রুক্ষেপ করি না।তবে যদি আমার দপ্তরের কোন নির্বাহী প্রকৌশলী অন্যায়ের সাথে জড়িত হয় তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।বরিশাল শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অপপ্রচার চালানো হয় এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন তখন তিনি বলেন বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ভালোভাবেই তার কাজবাজ করে যাচ্ছেন তিনি কোন অন্যায়ের সাথে জড়িত নন বলে আমি জানি। যদি তিনি ভাল কাজ করেন তাহলে অবশ্যই তার ভালো কাজের মর্যাদা দেয়া হবে যদি কোন অন্যায় করেন তার দায়ভারও তাকে নিতে হবে।তিনি বলেন কাজ উদ্ধার করার জন্য যখন নির্বাহী প্রকৌশলীরা শক্ত হয় তখন যাদের অবৈধ স্বার্থ হাসিল না হয় তখন তারাই অপপ্রচারের লিপ্ত হয়। তিনি আরো বলেন আমরা যেটা করব তদন্ত সাপেক্ষে করবো।ধন্যবাদ আপনাকে।

শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলতাফ হোসেন কে ফোন করে বরিশালের শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের বিষয় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমি যতটুকু জানি বরিশালে শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ভালোভাবেই তার কাজ করে যাচ্ছেন। বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন অপপ্রচার চালালেই হবে না আমরা তদন্ত ছাড়া কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করব না যদি সে ভালো কাজ করে সে ভালো কাজের মর্যাদা পাবে এবং যদি অন্যায় করে সেটাও আমরা দেখব। তিনি আরো বলেন ভালোভাবে কাজ করার জন্য অনেক সময় হয়রানির শিকার হতে হয় নির্বাহী প্রকৌশলীদের সেটাও আমরা জানি।শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আরো বলেন আমার দপ্তরে কোন দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই নেই আমি নিজে দুর্নীতি করিনা এবং কাউকে দুর্নীতি করতে দিব না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ)নুজহাত ইয়াসমিন বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যারাই আছেন তারা কেউ দুর্নীতি করতে পারবে না যদি কেউ দুর্নীতি করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের বিষয় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন তার ব্যাপারে যদি কোন অভিযোগ আসে সেটা আমরা তদন্ত করে দেখব।আমার জানামতে তিনি একজন ভালো অফিসার।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি তাই তার কোন বক্তব্য দেওয়া গেল না।

 

বরিশাল শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হয় মাঝে মাঝে এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন তখন তিনি বলেন আমার বরিশালে দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার দায়িত্ব শতভাগ সততার সাথে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।সেই সাথে আমার দপ্তরে যে সকল ঠিকাদাররা আছেন তাদের সকলের থেকে শতভাগ কাজ বুঝে নিয়ে থাকি।আমার ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে কোন বিরোধ নেই এবং কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম আরো বলেন এই দপ্তরে থাকলে অনেকেই অনেক সুপারিশ নিয়ে আসে যার সুপারিস বৈধ রাখার মত তার টা আমি রাখি বা রাখতে চাই যার সুপারিশ রাখা যায় না তিনি আমার বিরুদ্ধে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালায় এতে আমার কিছু যায় আসে না।আমি কি কাজ করি তা আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সবসময় তদারকি করেন।আমি আমার চাকুরী জীবনে একটি পয়সাও অবৈধ পন্থায় উপার্জন করি নাই। আমি চাই আমার উপর সকল অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে।