লাইফস্টাইল ডেস্ক :: জেনে নিন জমজ সন্তান জন্মানোর লক্ষণ
অনেকেই জমজ সন্তান চান। হয়তো দুটি বাচ্চার আকাঙ্ক্ষা কিংবা দুবার গর্ভধারণের ঝক্কি নিতে না চাওয়া থেকেই এ আকাঙ্ক্ষা জন্মে। জমজ সন্তান মূলত দু’রকম হয়। প্রথমটি হলো আইডেন্টিকাল টুইন বা মনোজাইগটিক টুইন। এমন জমজরা দেখতে হুবহু একই রকম এমন কি আচার ব্যবহারেও এদের খুব মিল থাকে।
এ ধরনের জমজ শিশুরা জন্মায় যখন একটি ডিম্বাণু একটি শুক্রাণু দিয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভেঙে গিয়ে দুটি ভ্রূণে পরিণত হয়। এসব কারণে তাদের চেহারা ছবি ও আচরণ একই রকম হয়।আরেক ধরনের জমজ আছে যাদেরকে বলা হয় ফ্লাটেরনাল টুইন বা ডাইজাইগোটিভ টুইন। চেহারা ও স্বভাবে সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী যমজ সন্তান ও জন্মায় কখনো। তারা জন্মায় দুটি আলাদা ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনে। তারা বড় হয় আলাদা প্লাস সেন্টার মাঝে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি কারণে জমজ সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা বাড়ে-
– মায়ের পরিবারে কারো যদি জমজ সন্তান থাকে তাহলে ফ্রাটারনিটি টুইন জন্মানোর সম্ভাবনা বাড়ে। আবার বাবার দিক থেকেও যদি কারো থাকে সেক্ষেত্রে আইডেন্টিকাল টুইন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।- মায়ের বয়স বাড়লে যমজ সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনাও বাড়ে। বিশেষ করে ৩৫ বছরের পরে হলে। এ সময় মায়ের শরীরে ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে।
ফলে মাসিকের পর একটির বদলে একাধিক ডিম্বানু বের হতে পারে। আর স্বাভাবিকভাবে যত বেশি ডিম্বানু তত বেশি সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা। দুটো তো বটেই কখনো কখনো তিনটি সন্তানও জন্ম নিতে পারে।- যেসব নারীরা বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করেছেন তাদের মধ্যেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। কারণ চিকিৎসায় সেবা ঔষধ ব্যবহার করা হয় তা প্রতি সাইকেলে ডিম্বাণুর সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। ফলে কোন ধরনের চিকিৎসা করেছেন তার ওপর নির্ভর করে দুটো আবার কখনো তিনটে যমজ সন্তান ও জন্ম নিতে পারে।
– লম্বা ও বেশি ওজনের নারীদের মধ্যেও জমজ সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা আছে। গবেষণা বলছে, ৫ ফিট ৪ ইঞ্চির বেশি উচ্চতার অধিকারী নারীদের ক্ষেত্রে জমজ সন্তানের সম্ভাবনা বেশি। এমন কি যাদের ওজন বেশি তাদের ক্ষেত্রেও এই সম্ভাবনা বেশি।
– ২০০৬ সালের এক গবেষণা বলছে, বুকের দুধ খাওয়ানো নারীদের ক্ষেত্রে জমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গবেষণায় দেখা যায় অন্যদের তুলনায় স্তন্যপান করানোর নারীদের জমজের সম্ভাবনা ছিল ১১ শতাংশ বেশি।
