নিজস্ব প্রতিবেদক :: ৫৫ বছর আগে নির্মাণ করা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরানো ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় নতুন ভবন তৈরি জরুরী হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে ২০ তলা ভবন তৈরির একটি প্রস্তাব। এটি বাস্তবে রূপ পেলে একসাথে ৩০ হাজার রোগীকে সেবা দেওয়া যাবে বলে মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ষাটের দশকের শুরুতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও হাসপাতালটি চালু হয় ১৯৬৮ সালে। ৫ তলা এই ভবনে প্রথমে আড়াইশ শয্যা, পরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াই ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সবশেষ ভবনটি ১ হাজার শয্যায় উন্নীত হয়েছে।
গত ৫৫ বছরে ভবনটিতে কিছু মেরামত কাজ হলেও পানি, বিদ্যুৎ ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের গায়ে পলেস্তরা খসে পড়ছে। চিকিৎসার কোনো পরিবেশ এখানে নেই।’
হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাকালীন ডেন্টাল বিভাগের প্রধান ডা. সৈয়দ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এর নির্মাণ, রক্ষনাবেক্ষণ এবং মেরামত কাজে সন্তুষ্টি পাইনি। এর ফলে অবধারিত যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে নতুন ভবনের একান্তই দরকার হয়ে পড়েছে।’ পুরাতন ভবনটি মেরামত করেও আর টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ২০ তলা নতুন ভবনের মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।
বরিশালের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আলম বলেন, ‘আমরা পুরাতন ভবনের আদল ঠিক রেখে ২০ তলা নতুন ভবনের প্রস্তাব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অনুমোদন পেয়ে অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রেখেছি।’
হাসপাতাল পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলছেন, ‘যে মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে তাতে পুরো হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা ওভারহেড সেতু করে বন্ধন করা হবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে বরিশাল হবে অগ্রদুত।’ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।