নিউজ ডেস্ক :: স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ২০০ টুকরা করলেন স্বামী
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন স্বামী। শুধু তাই নয়, হত্যার পর মরদেহ টুকরা টুকরা করেছেন। এরপর তা ভাসিয়ে দিয়েছেন নদীতে। সেখানেই ক্ষান্ত নয়, এরপর স্ত্রী মারা গেলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে তাও গুগলে সার্চ করেছেন তিনি। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিচিত্র এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। পাষণ্ড ওই স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ২০০-এর বেশি টুকরা টুকরা করেছেন। এরপর সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তা রান্নাঘরে সংরক্ষণ করেন তিনি। পরে তা ফেলে দেন নদীতে। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তারই এক বন্ধু।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বিচিত্র এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন নিকোলাস মেটসন (২৮) নামের এক ব্যক্তি। প্রথমে তিনি তার স্ত্রী হলি ব্রামলিকে হত্যার কথা অস্বীকার করেন। এক সপ্তাহ পর অবশ্য নিজের জঘন্য কাজের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এমনকি পুলিশ তদন্তে তার বাসায় গেলে তাদের সঙ্গেও মজা করেন তিনি। স্ত্রী খাটের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের সঙ্গে রসিকতা করেন নিকোলাস।
হত্যার পর মরদেহের বিভিন্ন অংশ লুকাতে বন্ধুর সহযোগিতা নিয়েছেন তিনি। এ কাজে সহযোগিতার জন্য তাকে ৫০ পাউন্ডও দিয়েছেন। সেই বন্ধু একটি বার্তায় তাকে জানান যে, মরদেহ অপসারণের জন্য মাত্র ৫০ পাউন্ড পেয়েছি।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভিতাম নদীর পাশ দিয়ে হাঁটার সময় এক ব্যক্তি মরদেহ রাখা প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো দেখতে পান। সেখানে একটি ব্যাগে হাত বেরিয়ে ছিল। পরে ডুবুরিরা শরীরে ২২৪টি টুকরা উদ্ধার করেন। এ ছাড়া এখনও কিছু অংশ নিখোঁজ রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে জানান, মরদেহটি এমনভাবে টুকরা টুকরা করা হয়েছে যে মুত্যুর কারণ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ছিল
নিহত নারীর মা আদালতে জানান, তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে মাত্র ১৬ মাস। তিনি তার মেয়ের জামাইকে ‘মনস্টার’ ‘দানব’ বলে আখ্যা দেন। তিনি জানান, সে আমার মেয়েকে আমার কাছে অনেকদিন আসতে দিত না। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের অবস্থায় ছিল। এমন সময়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, স্ত্রীকে হত্যার পর তিনি গুগলে ‘আমার স্ত্রী মারা গেলে আমি কী সুবিধা পাব’ এবং ‘মৃত্যুর পর কেউ কি আমাকে তাড়িত করতে পারে?’ এ জাতীয় প্রশ্ন খোঁজ করেন।