সাইফুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ :: বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। শতভাগ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন।
অতীতের সকল রেকর্ড উপক্ষো করে স্বচ্ছ ভোট গ্রহনে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার থেকে বিজিব,র্যাব পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তায় ঘেরা বাবুগঞ্জ উপজেলার মাঠ ঘাট।
ষষ্ঠ উপজেলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন দুই প্রার্থী। এর মধ্যে কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালেদ হোসেন স্বপন ও আনারস প্রতীক নিয়ে ফারজানা বিনতে ওহাব নির্বিচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
জানাগেছে খালেদ হোসেন স্বপনের পক্ষে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ। এছাড়াও তাকে ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় পার্টির একাংশের নেতাকর্মীরা সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি বিগত দিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বরিশাল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এদিকে দীর্ঘদিন নেতাকর্মীদের পাশে থাকায় নিজের মাঠ অনেকটা গোছানো সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের। তাই এবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
অপর দিকে খালেদ হোসেন স্বপনের বিপরীতে চেয়াম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার ও বাবুগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদ আবদুল ওহাব খানের কন্যা বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব। ভোটের মাঠে প্রতিপক্ষের চেয়ে সাধারণ ভোটারদের কাছে নিজের গ্রহনযোগ্যতাকে বেশি মনে করছেন তিনি। যার প্রতিফলন নিরব ভোটবিপ্লব ঘটাতে চান তিনি বরিশাল জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হিসেবে সুপরিচিত ফারজানা বিনতে ওহাব এর আগে বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নির্দলীয় এবং সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় ফারজানা বিনতে ওহাব। পিতা ওহাব খানের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে তিনি এ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ফারজানা ওহাব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সাধারণ জনগণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪১ জন।