নিজস্ব প্রতিবেদক :: বেনজীরকে ফেরত আনা হবে মতিউরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : দুদক আইনজীবী।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ ও রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দুর্নীতির বিষয়ে দুদক ধারাবাহিকভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির
আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অনুসন্ধান চলাকালে গ্রেফতার ও বিদেশযাত্রা ঠেকানোর এখতিয়ার থাকলেও নিশ্চুপ সংস্থাটি। এ সুযোগে অনুসন্ধান চলাকালে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন অভিযুক্তরা।
এ বিষয়ে দুদক আইনজীবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্তের হয়রানি ঠেকাতে বাড়তি সতর্কতার জন্য হার্ডলাইনে যায় না সংস্থাটি।
অনুসন্ধান চলাকালে গ্রেফতারের বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের কথা স্বীকার করে সংস্থাটির আইনজীবী আরও বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কমিশনের। আপিল বিভাগের রায়ে বলেছেন, অনুসন্ধানকার্য চলাকালীন যদি বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পায় তদন্তকারী সংস্থা, তাহলে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে। এখন কমিশনকে সিদ্ধান্ত দিতে হবে, অনুসন্ধান বিষয়ে কাউকে গ্রেফতার করবে কি না? দুদক আইনজীবী আরও বলেন, সতর্কতার কারণে অনেক সময় কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
খুব সাবধানতা সহকারে সেই ক্ষমতাটার ব্যবহার করতে হবে। দুদক সব কিছু দেখেশুনে আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে, আইনবিধি দেখে তার সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, বেনজীর-মতিউরের বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমানে সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেখে কমিশন পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ঠিক একইভাবে মতিউর রহমানের বিষয়েও বর্তমানে অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবেই সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরুর পর সপরিবারে দেশ ছেড়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।আবার এ সময়ের আলোচিত আরেকজন মতিউর রহমানও দিয়েছেন গা ঢাকা। যদিও মতিউর ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করতে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিতে নোটিস দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানের দুর্নীতির মাধ্যমে দেশ-বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্য পেয়েছে দুদক। হুন্ডির পাশাপাশি আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে বিপুল অর্থ পাচারের তথ্যও পাওয়া গেছে। এসব তথ্য নিশ্চিত হতে মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী ও প্রথম পক্ষের ছেলেমেয়ের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা। গত মঙ্গলবার সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে বেনজীর ও মতিউর পরিবারের সদস্যদের নামে এ নোটিস পাঠানো হয়েছে।