ঢাকাবুধবার , ১০ জুলাই ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাবুগঞ্জে একটি কর্দামক্ত রাস্তায় হাজারো মানুষের ভোগান্তি! উপজেলা চেয়ারম্যান ফারজানার সমাধানের আশ্বাস

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ১০, ২০২৪ ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

সাইফুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ, বরিশাল প্রতিনিধি :: বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের রফিয়াদি গ্রামের প্রবেশের মূল রাস্তাটি প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা মাটির রাস্তা হওয়ায় জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে রাস্তায় কোনোভাবে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুম রাস্তায় নরম কাঁদামাটি এবং বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদাপানির সৃষ্টি হয়। এতে যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানি ও মাটি মিশে কাদায় একাকার হয়ে যায় পুরো রাস্তা। এতে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

অথচ ওই সড়কে রয়েছে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, এতিমখানা, ধর্মীয় উপাসনালয়।  এছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে রফিয়াদী, চাঁদপাশা কিসমত, আরজি কালিকাপুর গ্রামের সাথে বটতলা বাজার, ময়দানের হাট, বাবুগঞ্জ বাজার সহ সকল স্কুল কলেজ ও উপজেলা সদরে যাতায়ত করেন।দীর্ঘদিনেও সড়কটি পাকা না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বছরের শুষ্ক মৌসুমে সড়কে ধুলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাদামাটির ভোগান্তির শিকার হতে হয় পথচারীদের। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয় তাদের। এ এলাকার মানুষের আতংক ও ভয়ের আরেক নাম বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে হাঁটু সমান কাঁদামাটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, ভ্যান-রিকশা আসে না। মোটরসাইকেল, সাইকেলে তো দূরে থাক, খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বৃষ্টির দিনে গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সও এখানে ঢুকতে চায় না। অনেক সময় কেউ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে কাঁধে করে কর্দমাক্ত রাস্তা পার করতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান তারেক বলেন আমাদের দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভোগের কথা কেউ শুনে না। এ এলাকার মানুষের ভোগান্তির কথা বলে বোঝানো যাবে না। নিজ চোখে দেখতে হবে। আমরা ঠিকমতো হাট-বাজারে যেতে পারি না। কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে পারি না। আমাদের এখানকার শিক্ষার্থীরা  কষ্ট করে স্কুল-কলেজে যায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জুতা-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে রাস্তার কাদামাটি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। আর কত কাল এ কষ্ট করতে হবে কে জানে।

জানতে চাইলে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব বলেন,  রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে সর্বসাধারণের দুর্ভোগে পরিণত হয়। রাস্তাটির প্রকল্প আকারে পাঠানো হয়েছে আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি এর একটা সমাধান হবে।