স্টাফ রিপোর্টার :: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এর অন্তর্ভূক্ত নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হাফিজুর রহমান তারেক ও তার সমর্থকরা আমতলা পানির ট্যাংক সংলগ্ন ‘জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বরিশাল’ এর পশ্চিম কর্ণারে ফুটপাত দখল করে কাঠ-টিনের ঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ জনমনে নানা প্রশ্ন জেগে উঠেছে। পাশাপাশি ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আ.লীগ শাসনামলে নগরীর খান সড়ক মোড় এলাকায় মডেল মসজিদের দেয়াল ঘেষে ফুটপাত দখলে নিয়ে ১৩নং ওয়ার্ড আ.লীগের অফিস করা হয়। গত ৫ আগস্ট সেই অফিস আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। তখন এলাকাবাসী মনে করছিল ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে। সেই একই স্থানে আবার নতুন করে কাঠ-টিনের ঘর তোলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, যখন আ.লীগ ফুটপাত দখল করে অফিস করেছিল তখন এলাকাবাসী তা ভালো ভাবে মেনে নেয়নি। আবার তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে মুখ খুলে কিছু বলতেও সাহস পায়নি। তবে ভিতরে ভিতরে তাদের ওই কর্মকান্ডের জন্য ধিক্কার জানিয়েছিল এলাকাবাসি। গত ৫ আগস্টের পর সেই ধিক্কার প্রকাশ পায়। এরপরেও বিএনপি কিভাবে পারে সেই একই স্থান দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে। তাহলে বিএনপি ও আ.লীগের মধ্যে পার্থক্য কি?
১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিঠু বলেন, ওই অফিসের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান তারেকের নেতৃত্বে সেখানে একটি কাঠ-টিনের ঘর উত্তোলন করা হয়েছে। তবে তিনি ওই ঘর উত্তোলনের পক্ষে নয়। উত্তোলনের সময় বিভিন্ন মাধ্যমে সদস্য সচিবকে বাঁধা দিলেও তখন তিনি তা শুনেনি।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, কোন ধরনের দখল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ কোন ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ডকে বিএনপি প্রশ্রয় দেবে না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ইতিমধ্যে ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাকে শোকজসহ দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তারেকের বিষয়টি সত্য হলে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
অভিযুক্ত নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হাফিজুর রহমান তারেক বলেন, এ ঘটনার সাথে তিনি সহ ওয়ার্ড বিএনপির কোন নেতা কর্মী জড়িত নেই।