ঢাকামঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনের সামনের রাস্তা দখল করে অ*বৈ*ধ দোকান

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
নভেম্বর ১৯, ২০২৪ ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর ২২নং ওয়ার্ড কাজীপাড়া সড়কে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ভবনের নাকের ডগায় রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট। অবৈধভাবে ১২-১৫টি দোকান বসিয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র অহরহ থাকলেও জনস্বাস্থ্য ভবনের সামনে এমন চিত্র দেখে হতবাক পথচারী ও ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন- রাস্তা দখল করে সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে বছরের পর বছর ব্যবসা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে সড়কে চলাচল করা কঠিন হয়ে যাবে।

গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনের সামনে রাস্তা এক পাশে ড্র্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। উত্তর পাশে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনের দেয়ালের সাথে সিটি কর্পোরেশনের সড়কের রাস্তা অর্ধেক দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট। এই রাস্তাটিতে অবৈধভাবে ১২ থেকে ১৫ টি খাবার হোটেলসহ চায়ের দোকান রয়েছে। রাস্তাটির দুই-তৃতীয়াংশ অবৈধ দোকানিদের দখলে।

সেখানকার এক দোকানি জানান, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনে পানি শাখার ভাল্ব অপারেটর গিয়াস উদ্দনের কাছ থেকে মাসে ৫ হাজার টাকা ভাড়া নিয়ে খাবার হোটেলের ব্যবসা করে আসছি।

পানি ও বিদ্যুৎ কিভাবে পেলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, পাশে পাওয়ার হাউজে চাকুরী করেন দোকান মালিক গিয়াস উদ্দিন তিনিই সব কিছুর লাইন করে দিয়েছেন।

জানা যায়, গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি পাওয়ার হাউজের পাশে থাকায় ঘরের সামনেই পাওয়ার হাউজ এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দীর্ঘ বছর ধরে ঘরে বসে চাকুরী করে আসছেন ভাল্ব অপারেটর গিয়াস উদ্দিন।

স্থানীয়রা জানান, গিয়াস উদ্দিনের সহযোগীতায় তার এক ভাইও অবৈধভাবে রাস্তার উপর দোকান বসিয়ে ভাড়া দিয়েছেন। তাদের ভয়ে কেউ মূখ খুলতে সাহস পায় না।

খোঁজনিয়ে জানা যায়, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঝাড়ুদারের ছেলে ও ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ফয়সালও অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে দুটি দোকান বসিয়ে ভাড়া দিয়েছেন। অবৈধ দোকান মালিক শুক্কুর রাস্তা দখল করে ১টি দোকান বসিয়ে ভাড়া দিয়েছেন, মিন্নাত হাসিবের আছে ৪টি দোকান, রুহুলের আছে ১টি। পাশাপাশি জহিরুল বাবুর্চিসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অবৈধভাবে রাস্তা উপর দোকান বসিয়ে সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে মাসে হাজার হাজার টাকা পকেট ভরছে সিটি কর্পোরেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে।

সংবাদ প্রকাশে আগ পর্যন্ত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

অবৈধভাবে দোকানদারের বিদ্যুৎ মিটার কিভাবে পেলো জানতে চাইলে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ওজোপাডিকো-১ বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়র সামচুল হক বলেন, আমি নতুন আসছি। বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করেন।

 

ফুটপাতে অবৈধ দোকানদারের নামে বিদ্যুৎ মিটারের বিষয়ে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ওজোপাডিকো-১ বরিশালের নিবাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল কুমার স্বর্নকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, আপনি যখন বলেছেন আমি দেখবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিসির সম্পত্তি শাখার কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, আপনি কাউকে দিয়ে অভিযোগ দেওয়ান, আমি ব্যবস্থা নিবো।