নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সাগরদী কামিল মাদ্রাসায় ফাজিল কেন্দ্রীয় পরীক্ষার হল সচিব হলের দায়িত্ব পালন না করে দ্বায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।বরিশাল সাগরদী কামিল মাদ্রাসায় ফাজিল কেন্দ্রীয় পরীক্ষার কেন্দ্রে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ আছে।পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদেরকে অসাধু উপায়ে অবলম্বন করে নকল করতে দেওয়া হয় এমন সংবাদের খোজে বরিশাল সাগরদী কামিল মাদ্রাসায় গেলে সরেজমিনে দেখা যায় কেন্দ্রের হল সুপার নিজ কাজে পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্র ত্যাগ করে বরিশাল নগরীর কালিজিরা গেছেন।
আজ শনিবার ফাজিল ৩য় বর্ষের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা চলাকালে বরিশাল সাগরদী কামিল মাদ্রাসায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবাই বই দেখে লেখার সুবিধা দেওয়াসহ নানা অনিয়ম অভিযোগ আছে হল সুপার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
পরীক্ষা চলাকালীন সময় হল সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের বই দেখে লেখতে দেওয়া সহ নানা অভিযোগ দেখা গেছে।
অনেক পরিক্ষার্থীরা বলেন হল সুপার বই দেখে লিখতে দিয়ে মেধা শূন্য করে ফেলছে।আবার অনেক ছাত্র অভিযোগ করে বলেন টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় পাশ করানোর চুক্তি নিয়েছেন এই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দুর্নীতিবাজ জেনারেল শিক্ষক নজরুল ইসলাম।তবে সেখানে থাকা অন্যন্য পরীক্ষার্থীরা অনৈতিক উপায় অবলম্বন করা ও নিজ স্বার্থের জন্য তার পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন।
পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় পরীক্ষার খাতার বাইন্ডিং করতেছে মাদ্রাসার কর্মচারীরা তবে সেখানে থাকা দুই শিক্ষক আনিচুর রহমান ও শহিদুল আলম বলেন হল সুপার তার নিজ কাজে কালিজিরা গেছে।
সাগরদিঘী কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বরিশাল জেলা প্রশাসক ও অত্র প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা আইসিটিকে না জানিয়ে সাগরদী কামিল মাদ্রাসায় ফাজিল কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা নিচ্ছে অসদ উপায় অবলম্বন করা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে টাকা নিয়ে পরীক্ষার হলে নকল সাপ্লাই দেওয়ার জন্য।
আমাদের পরীক্ষার খাতার বাইন্ডিং ও সীল করতে বলে গেছেন তাই আমরা করতেছি।হল সুপার ছাড়া এই কাজ করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তারা বলেন আসলে হল সুপার এখানে থাকা বাধ্যতামূলক তবে সে আমাদের বলে বাহিরে কাজে গেছে তবে এটা অনিয়ম ।
স্থানীয়রা বলেন সাগরদী মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল করার ব্যাপারে বরিশাল বিভাগের মধ্যে চ্যাম্পিয়ান। কয়েক বছর পূর্বে এই মাদ্রাসা থেকে কয়েক বস্তা নকল উদ্ধার করেন প্রশাসন।
পরীক্ষার হল থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার বিষয়ে ও মাদ্রাসার পরীক্ষার হলে চলছে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন আমি সব কিছু উপরস্থ সবাইকে ম্যানেজ করেই চালিয়ে আসছি আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আপনি রুপাতলী সংবাদ সকাল পত্রিকা অফিসে আসেন।সংবাদ সকাল পত্রিকার অফিস তার কিনা জানতে চাইলে বলেন আপনি যা পারেন তা করেন আমি আপনাদের মত সাংবাদিকদের কে দেখে নিব।
উল্লেখ্য যে, নজরুল ইসলাম একজন জেনারেল দুর্নীতিবাজ শিক্ষক বরিশাল সাগরদী ঐতিহ্যবাহী কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ায় হতাশ শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অত্র মাদ্রাসার একজন সিনিয়র আরবি শিক্ষক বলেন জাতি হিসেবে আমরা এতই হতাশ যে ঐতিহ্যবাহী একটি কামিল মাদ্রাসায় একজন দাড়ি ছাটা জেনারেল শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হতে হয়েছে আমরা তার অধীনে চাকুরি করি এটা আমাদের জন্য লজ্জার ও দুঃখজনক। এই অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
একজন ছাত্র অভিভাবক বলেন সাগরদী কামিল মাদ্রাসায় আর কি কোন আলেম ছিলনা যাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা যায় তা না করে একজন জেনারেল শিক্ষককে কেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করতে হবে এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন আমরা সন্তানদেরকে মাদ্রাসায় পাঠায় আরবি দ্বীন শিক্ষার জন্য আর সেখানের প্রধান যদি হয় একজন জেনারেল দাঁড়ি ছাটা তাহলে অত্র মাদ্রাসার ছাত্ররা কি শিখবে আফসোস।
স্থানীয় একজন আক্ষেপ করে বলেন এই মাদ্রাসা ধ্বংসের জন্য এই ভারপ্রাপ্ত দাড়িছাটা দুর্নীতিবাজ জেনারেল শিক্ষক নজরুল ইসলাম’ই যথেষ্ট। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারব না।
সাগরদী কামিল মাদ্রাসার সকল অনিয়ম দুর্নীতিতে হল সচিবের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী বেয়াদব খেত, নারী লোভী ঘুষখোর আল আমিন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেয়াদব আল আমিন শিক্ষকদের চেয়ারে বসে কথা বলেন এবং ভাব সাব নেন যাহা অত্র প্রতিষ্ঠানের জন্য লজ্জাজনক।
পরীক্ষার কেন্দ্রের অনিয়ম ,দূর্নীতি ও হল সুপারের কেন্দ্রে না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রেরেজার শাখার এ. এস. এম. মামুনুর রহমান খলিলী বলেন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরীক্ষার কেন্দ্রের অনিয়ম ,দূর্নীতি ও হল সুপারের কেন্দ্রে না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার মো: আইউব হোসেন বলেন আমি এখই কেন্দ্রের পরিদর্শকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সাগরদী কামিল মাদ্রাসার সভাপতি বরিশালের জেলা প্রশাসক মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন আমি এখনও ওই প্রতিষ্ঠানের কারো সাথে বসি নাই।
তারাও আমার কাছে আসে নাই এই প্রতিষ্ঠানটা একটা বরিশালের জন্য ক্যান্সার স্বরূপ খেয়ে দেখতেছি ওখানে যে ফাজিল পরীক্ষা চলে এ বিষয়ে আমি জানিনা পরের পরীক্ষা আমি অবশ্যই সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠাবো।
সাগরদী কামিল মাদ্রাসার দুর্নীতিবাজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও তার সহযোগী অফিস সহকারী আল আমিনের সকল অপকর্ম কুকর্ম নিয়ে খুব শীঘ্রই প্রতিবেদন আসছে তাই চোখ রাখুন পত্রিকার পাতায়।