
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে জালনোটসহ র্যাবের হাতে আটক, ২।
বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, প্রতারকচক্র, মাদক ও চোরাচালান রোধে র্যাব অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে। সর্বদাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শৃংখলা বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
কিছু অসাধু ব্যক্তি জাল নোট তৈরি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবারাহ করে যাচ্ছে, এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮, বরিশাল গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ০৭ মে ২০২৫ তারিখ ১৩.১০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বরিশাল মহানগরের বন্দর থানাধীন কর্নকাঠি গ্রামের বড় মোল্লা বাড়ী সড়কে কতিপয় ব্যক্তি জাল টাকার নোট ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দলটি একই তারিখ ১৩.৩০ ঘটিকার সময় কৌশলগতভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক ০২ জনকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিদ্বয় জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম ১। মোঃ মিজান হাওলাদার(১৯), পিতা-মোঃ লাল মিয়া, সাং-চরকাউয়া, থানা-বন্দর, জেলা-বরিশাল, ২। মোঃ নাঈম হোসেন (২৫), পিতা-মোঃ ফরিদ হোসেন, সাং- লেবুবুনিয়া, থানা-রাজাপুর, জেলা-ঝালকাঠি’ বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ০১ নং অভিযুক্ত মোঃ মিজান হাওলাদার স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে জানায় সে এক লক্ষ জাল টাকার নোট ০২ নং অভিযুক্ত মোঃ নাঈম হোসেন এর নিকট নগদ বিশ হাজারে বিক্রয়ের জন্য ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল। এসময় তাদের তল্লাশীর মাধ্যমে অভিযুক্ত মোঃ মিজান হাওলাদারের সাথে থাকা স্কুল ব্যাগ হতে ১,০০০০০.০০ (এক লক্ষ) জাল টাকার নোট উদ্ধার করে। জাল নোট উদ্ধারের পর অভিযুক্ত মোঃ মিজান হাওলাদার স্বীকার করে যে, তিনি নিজ বাড়িতে জাল টাকা উৎপাদন করেন। তার স্বীকারোক্তিমতে একই তারিখ ১৪৪০ ঘটিকায় বরিশাল মহানগরের বন্দর থানধীন চরকাউয়া গ্রামে অভিযুক্তের বসত বাড়ির চারচালা টিনের ঘর থেকে আরোও ১,৮৫,৩১৫.০০ (এক লক্ষ পঁচাশি হাজার তিনশত পনের) বিভিন্ন টাকার জাল নোট, জাল টাকা ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত ০১টি প্রিন্টার, ০১ টি ল্যাপটপ, ০৪ বোতল প্রিন্টারের কালি, ০১ টি মডেম, ০৩ প্রকার আঠার কৌটা, কয়েকটি ক্যাবলসহ কয়েক প্রকার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে বরিশাল মহানগরের বন্দর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-ক ধারায় মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলমান। দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে র্যাবের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।