
নিউজ ডেস্ক :: দেশে করোনায় আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ওই দুজন নারী। তাদের একজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ এবং আরেকজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। একজন ঢাকা এবং আরেকজন চট্টগ্রাম বিভাগের।
এর আগে গত জুনে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে চলতি বছরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮.৬২ শতাংশ।
গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনাক্ত ব্যক্তিদের ৯ জন ঢাকার। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলার দুজন করে। কক্সবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রয়েছে একজন করে।
দেশের বাকি ছয় বিভাগে এ সময়ে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জনের। সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জন। মারা গেছে ২৯ হাজার ৫০২ জন।
কভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধসহ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং মাস্ক ব্যবহার করা। হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে হবে। ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার (অন্তত ২০ সেকেন্ড) অভ্যাস করতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ ছোঁয়া যাবে না। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাসহ কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে হবে। রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রোগীর সেবাদানকারীরাও সতর্কতা অবলম্বনে মাস্ক ব্যবহার করবে। প্রয়োজন হলে কাছের হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়নের (১৬২৬৩) নম্বরে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে হবে।