
নিউজ ডেস্ক :: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কড়ইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত রুবি আক্তারের মেয়ে রিক্তা বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় আজ ভোরে মুরাদনগরের আকবপুর এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন—মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক কারবার ও মোবাইল চুরির দ্বন্দ্বে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন—খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম রুবি (৫৫), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার জোনাকি (২৯)। গুরুতর আহত হন আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৮)। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় অনেকে বলছেন, নিহতরা মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছিল। সর্বশেষ মোবাইল চুরির ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এ মামলার ১৮ ও ১৯ নম্বর আসামিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।