
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: ‘জনসেবায় প্রশাসন’ এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে জনগণের নিরাপদ ঈদ যাত্রা নিশ্চিত, ভেজাল প্রতিরোধ এবং বাজার ব্যবস্থাপনা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টানা মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত এসব অভিযানে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯, কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ সহ বিভিন্ন আইনের অধীনে শতাধিক মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা।
১ জুন থেকে ১৪ জুন ২০২৫ পর্যন্ত পরিচালিত এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর অধীনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মামলা দায়ের ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে। উক্ত জরিমানার পরিমাণ প্রায় ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা।
পরিবহন খাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রবিহীন যানবাহন চালানো এবং যাত্রী হয়রানির অভিযোগে পরিবহন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযানকালে যাত্রীদের নিকট অতিরিক্ত আদায়কৃত ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএ এর অধীন বরিশাল নৌবন্দরে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখা, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে প্রতি সন্ধ্যাতেই দায়িত্বরত ছিলেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়া, ঈদের পূর্বে বাজারে ভেজাল খাদ্যের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন-বিক্রির অভিযোগে নগরীর ৩ টি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী জরিমানা করা হয় প্রায় ৭৫০০০ হাজার টাকা।
ঈদের পূর্বে ভোক্তাসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সেজন্য বাজার মনিটরিং কার্যক্রম গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন।
সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক দামে পণ্য বিক্রি, মূল্যতালিকা না থাকাসহ বিবিধ অভিযোগে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর আওতায় অসাধু ব্যবসায়ীদের করা হয় জরিমানা। এসময় প্রায় ৫৬০০০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।