ঢাকারবিবার , ২০ জুলাই ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পায়রা বন্দরকে গ্রীণ পোর্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই — নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ২০, ২০২৫ ৭:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: নৌ পরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ্আমাদের কোনো বন্দরই আন্তর্জাতিকভাবে গড়ে ওঠেনি। এমনকি চট্টগ্রাম বন্দরেরও সেভাবে আন্তর্জাতিক কানেকশন নেই। আমাদের দেশে পায়রা বন্দর নামে নতুন বন্দর তৈরি করা হয়েছে। এখন আমরা এ বন্দর নিয়ে কী করতে পারি, তা ভাবছি।

আমরা নতুন এ বন্দরের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পরবর্তীতে নতুন সরকার এসে এ বন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে। পায়রা বন্দর যাতে টাকা বরাদ্দ পায়, আমি সে চেষ্টাও করে যাচ্ছি। পায়রা বন্দরকে ঘিরে বিভিন্নমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা পায়রা বন্দরকে গ্রিন পোর্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।্#৩৯; নৌপরিবহণ উপদেষ্টা আরও বলেন,আমরা বেসরকারি এবং বিদেশিদের বলছি তাঁরা যেন বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। বরিশালে যদি আমরা কনটেইনার টার্মিনাল করি, তাহলে হয়তো ভালো হবে। আমাদের দেশের নদীপথ যেন আরও সচল হয়, সে জন্যও আমি চেষ্টা করছি।

পায়রা বন্দর পর্যন্ত যদি রেললাইন চলে আসে, তাহলে এ বন্দর আরও কার্যকর হবে। পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দে্রর অভিজাত হোটেল শিকদার রির্সোটে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে এ কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন,এখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এমন সময় বৃষ্টি হচ্ছে, যখন আমাদের বৃষ্টির প্রয়োজন নাই।

আবার এত বেশি গরম পড়ছে, খরা হচ্ছে যাও সহনশীল নয়। এসব জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব।্#৩৯; পায়রা বন্দরে পার্শ্ববর্তী দেশের মাধ্যমে আরও দুটি টার্মিনাল করার কথা থাকলেও আপাতত তা হচ্ছেনা বলে জানান। হয়তো পরবর্তীতে এ টার্মিনাল তৈরি হতে পারে বলে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মাতারবাড়িতে আন্তর্জাতিক মানের গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলা, পায়রা বন্দরের ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করে রি—কন্ডিশন গাড়ি আমাদানী করার উদ্যোগ নেয়ার কথা নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা দৃঢ়তার সাথে উচ্চারণ করেন।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (পিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্যে তিনি ২০২৬ সালের জুলাই মাস হতে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রস্তুতি ও সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া ড্রেজিংসহ অত্যাবশ্যক কয়েকটি কাজ সম্পাদনে তিনি সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।

বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল এবং নেদারল্যান্ডের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েল হাসকনিং দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কাজ করে পায়রা বন্দরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে। তাঁদের গবেষণালব্দ এ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করা হলে ভবিষ্যতে বন্দরটি দেশের এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন,আগামী তিন বছরের মধ্যে পায়রা বন্দর রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।

পায়রা বন্দরকে সচল রাখতে হলে ড্রেজিং করতে হবে। ড্রেজার ক্রয় করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে ড্রেজিংয়ের খরচ কীভাবে কমানো যায়, সে চিন্তা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে যাতে স্থানীয় পরিবেশ—প্রতিবেশের ওপর কোনো প্রভাব না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রেখে বন্দরের যাবতীয় কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন,ভাঙা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত চারলেনের সড়ক দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি করছি। বহুল আকাংখিত এ সড়কটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হলে পায়রা বন্দরে নোঙর করা জাহাজ থেকে খালাস করা মালামাল দ্রুত সড়কপথে পরিবহণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেদারল্যান্ডভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েল হাসকনিং ডিএইচভির দলনেতা এবং আন্তর্জাতিক বন্দর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ মি. মেনো মুইজ। এ সময় তিনি বলেন, ্#৩৯;পায়রা বন্দরকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করা হয়েছে। বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের মংলা বন্দরের চেয়ে পায়রা বন্দরের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।

আমরা মনে করছি, এ বন্দরের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বেশি হবে। পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ২০২৬ সাল নাগাদ পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগী হবে। তা ছাড়া আন্ধারমানিক নদীর ওপর আরও একটি সেতু নির্মিত হচ্ছে। পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের সাথে এ সেতুর সংযোগ স্থাপিত হবে। যার ফলে সড়কপথ ধারে দেশের ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে আমদানী করা পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবহণ করতে পারবে। ভবিষ্যতে এ বন্দর ব্যবহার করে বিনিয়োগকারী এবং অংশীজনরা সুফল ভোগ করতে পারবে।্

কর্মশালা অংশগ্রহণ করে পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দলনেতা এবং বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ইসতিয়াক আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, ্#৩৯;২০১৭ সাল থেকে আমরা পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কাজ শুরু করি। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার পর আমরা ২০২৩ সালে মাস্টারপ্ল্যান চুড়ান্ত করতে সক্ষম হই। তবে এটা করতে গিয়ে আমরা জাতীয় স্বার্থ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। মাস্টারপ্লান পরিবর্তনযোগ্য, প্রয়োজনে এটা পরিবর্তন করা যাবে।্

তিনি আরও বলেন,নতুন করে যেহেতু এখানে বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে, সে কারণে এ বন্দরকে গভীর সমুদ্র বন্দর করা সম্ভব। আমরা সেভাবেই পরামর্শ দিয়েছি। বন্দর যখন পুরোপুরি সচল হবে, তখন ঠিকই এ বন্দর লাভজনক পর্যায়ে যাবে। এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নাই।্#৩৯; পায়রা বন্দরের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (পিপিএ) সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমোডর মোহাম্মদ আবদুল কাদের।

এ সময় তিনি বলেন,বর্তমানে দেশের চট্রগ্রাম এবং মংলা বন্দর দিয়ে আমদানী—রপ্তানী কার্যক্রম সচল রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। যার কারণে নতুন একটি বিকল্প বন্দর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর সে বন্দরটিই হচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত পায়রা বন্দর। পায়রা বন্দরের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে বন্দরের পাশ দিয়ে ৭৫ কি. মি. দীর্ঘ প্রাকৃতিক রাবনাবাদ চ্যানেল রয়েছে।

এ চ্যানেলটির গভীরতা সাড়ে ১০ মিটার.। যা বন্দরের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। এ চ্যানেল ব্যবহার করে অনায়াসে পণ্য নিয়ে বিদেশ থেকে আসা জাহাজ বন্দরের জেটিতে ভিডিওতে পারবে।্#৩৯; এ প্রসঙ্গে তিনি বন্দর সীমায় অবস্থিত দুটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বন্দরের ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরে ৪১০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), বন্দরের নিজস্ব শিল্পাঞ্চলের কথা তুলে ধরেন।

এখানে বিনিয়োগের জন্য একাধিক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান। বন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে সচল হওয়ার পর বন্দর ও বন্দর—নির্ভর যে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে, সেটা দক্ষিণাঞ্চলের একটি তুলনামূলক অনগ্রসর জনপদকে সমৃদ্ধ করা তথা দেশের অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব অবদান রাখবে। ২০৪১ সালের মধ্যে পায়রা বন্দর দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে বলে তিনি মনে করেন। এ ছাড়া সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বরিশাল বিভাগ ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বন্দর ব্যবহারকারী—অংশীজনসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পায়রা বন্দর কেন গড়ে তোলা হচ্ছে?

বাংলাদেশের মোট আমদানি—রপ্তানির প্রায় ৯৩ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন ও রপ্তানি খাত সম্প্রসারিত হচ্ছে, যার ফলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দেশের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বিদ্যমান বন্দরগুলো পূর্ণ সক্ষমতা কার্যকর হলেও আমদানি—রপ্তানির প্রত্যাশিত গতি অর্জন করতে সক্ষম হবে না। ভৌগোলিক অবস্থান, সরলরৈখিক ও প্রশস্ত চ্যানেল, বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং দেশের মধ্য—দক্ষিণাঞ্চলে একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলার লক্ষ্যে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন প্রবেশদ্বার হিসেবে তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রা বন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়।

২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়ায় দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। ২০১৬ সালের ১৩ আগষ্ট এ সমুদ্র বন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। অপরদিকে ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চাড়িপাড়ায় পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের (পিপিএফটি) উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু হয়।

পায়রা বন্দরের সুবিধাসমূহ আধুনিক ইক্যুইপমেন্ট সমৃদ্ধ ৬৫০ মিটার জেটি সুবিধা, ৩ লক্ষ ২৫ হাজার বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ড সুবিধা, ১০ হাজার বর্গমিটার আধুনিক কনটেইনার ফ্যাসিলিটি সার্ভিস (সিএফএস) সুবিধা, সুপ্রশস্ত ও সরলরৈখিক চ্যানেলে নিরাপদ নেভিগেশন সুবিধা, ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩২ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্যানামেক্স আকৃতির জাহাজ চলাচলের সুবিধা, ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার মে. টন কার্গো এবং ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টিইউএস কনটেইনার সুবিধা,

জটবিহীন বার্থিং ও আন—বার্থিং সুবিধা, অগ্নিনির্বাপণ ও দুর্ঘটনা মোকাবেলা সেবা, ইনার চ্যানেলে একই সময়ে ১৫টি বাণিজ্যিক জাহাজের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা, সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী ক্লাস ১ নদী পথে ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সংযোগ সুবিধা (প্রায় ৫ মি. নাব্যতা ও জোয়ার ভাটার অপেক্ষা ছাড়া),

কন্টিনজেন্সি এ্যাংকোরেজ সুবিধা, সুবিশাল ও সুপ্রশস্ত আধুনিক কার পার্কিং শেড সুবিধা, সাশ্রয়ী ট্যারিফ রেইট সুবিধা (গড়ে ২০—৩০ শতাংশ কম) এবং সড়ক পথে যানজটবিহীন কার্গো পরিবহন সুবিধা, প্রযুক্তিবান্ধব অটোমেটেড অপারেশন ও স্মার্ট গ্রাহক সেবা রয়েছে। সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিভিন্ন অংশীজনের পক্ষ হতে মাস্টারপ্ল্যান ও সামগ্রিকভাবে পায়রা বন্দরের অগ্রগতি বিষয়ক মন্তব্য ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।