
সাইফুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি ::
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ রাজনৈতিক সফরে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
তার এই সফরকে ঘিরে বাবুগঞ্জ-মুলাদী এলাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, এই সফর শুধুই পারিবারিক বা ব্যক্তিগত নয়; বরং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এই লন্ডন সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে দলীয় বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন ব্যারিস্টার আসাদ। তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে এলাকায় একজন মার্জিত, শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি করোনা কালীন সময়ে বাবুগঞ্জ ও মুলাদীর দুই উপজেলায় নিঃস্ব দরিদ্র মানুষকে ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা করেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজায় বাবুগঞ্জ মুলাদীর প্রতিটি পূজা মন্ডপের খোঁজখবর রেখেছেন এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন। তিনি দুই উপজেলায় শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ এমনকি বিএনপি’র দুর্দিনে যে সমস্ত নেতাকর্মী হামলা-মামলার শিকার এবং জেল খেটেছেন তাদেরকে আইনী সহায়তা ও বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়া এবং আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় রাজনীতির দুই হেভিওয়েট নেতার অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের মধ্যেও এই তরুণ নেতার কার্যক্রম ও গ্রহণযোগ্যতা তাকে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করছেন দলীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা— তরুণ নেতৃত্বই আগামীতে এ অঞ্চলের উন্নয়ন ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন মামলা পরিচালনা করে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির তরুণ মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ লন্ডনে অবস্থানকালে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হতে পারেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন, এ সম্ভাব্য সাক্ষাৎ শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়, বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের রাজনীতিতে একটি নতুন বার্তার ইঙ্গিতও হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নবঞ্চিত এ আসনে তৃণমূলের নতুন নেতৃত্বের প্রতীক্ষা চলছে, আর সেই প্রত্যাশার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন ব্যারিস্টার আসাদ।
এই সাক্ষাৎ যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা বরিশাল-৩ আসনের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপির হাইকমান্ডের দৃষ্টি ও আস্থা তরুণ নেতৃত্বের প্রতি কতটা রয়েছে, সেটিরও ইঙ্গিত মিলতে পারে এই আলোচনার মাধ্যমে।
বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত
তরুণ, শিক্ষিত এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন— মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, তরুণ নেতৃত্বে বিশ্বাস করে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হয়ে এ অঞ্চলের উন্নয়নবঞ্চিত মানুষদের জন্য কাজ করতে পারব। আমি থাকতে চাই সাধারণ মানুষের পাশে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে তার কিছু রাজনৈতিক কাজ লন্ডনে চলমান রয়েছে। সেগুলো শেষ করেই তিনি অতি শীঘ্রই দেশে ফিরে বরিশাল-৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে মিলিত হবেন।
আসন্ন নির্বাচনে ব্যারিস্টার আসাদকে ঘিরে এলাকার তরুণ সমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে আশাবাদ বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন, একজন শিক্ষিত, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতৃত্বে বাবুগঞ্জ-মুলাদীর উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।