
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সদর ভূমি অফিসের চেইনম্যান মনির হোসেনের বিরুদ্ধে কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।
সদর ভূমি অফিসের চেইনম্যান মনির হোসেনের বিরুদ্ধে বেনামে কোটি টাকার জমি ও বাড়ি কেনার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি সরকারি চাকরিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা হয়েও নিজের বাবা, ভাই ও স্ত্রীর নামে একাধিক সরকারি জমি বন্দোবস্ত করিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন আহমেদগঞ্জ মৌজায় সরকারি খাস জমি বন্দোবস্তের মাধ্যমে মনির হোসেনের পরিবারের নামে বেশ কয়েকটি দলিল তৈরি হয়েছে। এসব জমি যাদের পাওয়ার কথা নয়, সেই সব জমিই তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয়দের নামে বরাদ্দ করিয়েছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এছাড়া, সূত্র জানিয়েছে যে, মনির হোসেন একাধিকবার বদলির আদেশ পেলেও রহস্যজনক কারণে এখনও বরিশাল সদর ভূমি অফিসেই বহাল আছেন। সর্বশেষ গত ২৯ অক্টোবর তার বদলির আদেশ জারির পরও “উর্ধ্বতন মহলের প্রভাব” খাটিয়ে তিনি আগের পদে থেকে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, মনির হোসেন সরকারি ফি’র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেন। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে জানা গেছে। একাধিক সেবা গ্রহীতা ও স্থানীয় নাগরিকরা জানিয়েছেন, তার প্রভাব এতটাই বিস্তৃত যে, কেউ সরাসরি অভিযোগ করতেও ভয় পান।
একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা হয়েও মনির হোসেন কীভাবে এত অঢেল সম্পত্তির মালিক হলেন—তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে মনির হোসেনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বরিশাল সদর ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে অনিচ্ছুক।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করা জরুরি।


