
এবি সিদ্দীক ভূইঁয়া :: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডাটা এন্টি অপারেটর আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা দূর্নীতির বরপুত্র ফ্যাসিস্টের দোসর হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ,বদলী নিয়োগ বানিজ্য সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ! শিক্ষক কর্মচারিদের কাছ থেকে কোটি -কোটি টাকা হাতিয়ে নেন হুমায়ুন ওরফে দরবেশ বাবা নামে খ্যাত।মাউশির বিভিন্ন এম.পি.ও বাণিজ্য, কর্মচারী বদলির সিন্ডিকেট নেতা হিসেবে সারা বাংলাদেশে পরিচিত। তাকে বিভিন্ন অন্যায় অনিমের কারণে তার পরিচিতি রয়েছে।৯টি অঞ্চলের এমপিও নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ গোয়েন্দা সংস্থা হাতে রয়েছে ।তিনি মাউশির প্রধান কার্যালয় শিক্ষা ভবনে তার নিজেস্ব দালাল চক্র রয়েছে এবং বদলি বাণিজ্য অর্থ লেনদেন করে থাকেন এই চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে আর মাউশির দরবেশ বাবা হুমায়ুনের জন্য একটি অংশ রেখে দেন এই চক্রের প্রতিটি সদস্যরা । দরবেশ বাবা হুমায়ুনের অংশ না পেলেই বাদে বিপত্তি তার সহযোগীরা শিক্ষক, কর্মচারিদের বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে পরবর্তীকালে দরবেশ বাবার হাদিয়া দিয়ে রক্ষা পান অনেক ভূক্তভোগী পরিবার। অথচ অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এ কর্মকর্তা। ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,শ্রমিক লীগকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ! থাকা সত্ত্বেও
রয়েছে বহাল তবিয়তে।সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে থাকা আওয়ামীলীগেরনপন অনুসারীরা গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
সুত্রে জানাযায়,১ নং আমিন বাগ,বাশের পুল,ডেমরা,ঢাকা। জমি ক্রয় করে তিন তলা ভবন নির্মাণ করেছেন।ভবনে নাম এইচ তাসলিমা হোম।ছয় ইউনিট ভাড়া দেন হুমায়ুন ।
দুই সন্তান প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা করে।আত্মীয় স্বজনের নামে জমি ক্রয় করার পরে পরবর্তীকালে নিজের নিয়ে নেন। হুমায়ুন ওরফে দরবেশ বাবা মাউশির ১৫ গ্রেডের চাকুরী করেন বতর্মানেই ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন পান। বাবা ছিলেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। বাবা রেখে যায়নি তেমন উল্লেখযোগ্য কোন জমা জমি। চাকুরীর সুবাদে তিনি এখন কোটিপতি
সুত্রে আরো জানাযায়,প্রজেক্টে চাকুরী করে পরে রাজস্ব খাতে নিয়ে চাকুরী স্থায়ী হয় আওয়ামী লীগের তদবিরে।
কর্মস্থলে বসে অবৈধভাবে ঘুষ নেয়া তার পেশা এবং নেশায় পরিণত হয়েছে।আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা বতর্মানেও ছাত্র জনতার মহান উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখনো সক্রিয় রয়েছেন।
তার নিজ এলাকায় একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীত সাথে জড়িত তার পরিবার।
ছাত্র অবস্থায় আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা সত্য।একথা গুলো তার নিজ এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জানাযায়। আওয়ামী লীগে বড় নেতাদের সাথে বতর্মানে ও কথা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডাটা এন্টি অপারেটর হুমায়ুনের মুটোফোনে কল দিলে বলে সাংবাদিকের কোন কাজ নেই। আমার বিষয়ে মাউশিতে খবর নিন। আমার বিরুদ্ধে কেউ লাগলে সে নাই হয়ে যায়। আমার আপনার নাম দরবেশ বাবা দ্বারা সব সম্ভব বলে ফোন কেটে দেন।আর ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বলেন,
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে চাকুরী দেয়া, নিয়োগ, বদলি বাণিজ্য মাউশির কাজ।ডাটা এন্টি হুমায়ুন তাহার সাথে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন এটি কোন ছোট্ট অপরাধ নয়।দুর্নীতি কখনো ছোট বড় নয় দুর্নীতি তো দুর্নীতিই সেটি যেমনই হোক। ছোট ছোট দুর্নীতি থেকেই বড় বড় দুর্নীতির জন্ম দেয়। দুদক আগের চেয়ে ভালো কাজ করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। দুদকের দুর্নীতির বিষয়ে আর বিশদ অনুসন্ধান প্রয়োজন। একইসঙ্গে দুদকের জনবলেরও ঘাটতি রয়েছে সেগুলোর সমাধান প্রয়োজন। কেননা যে তুলনায় দুর্নীতির অভিযোগ আসে সেই তুলনায় দুদক অনুসন্ধান করতে পারে না। যদি সকল দুর্নীতি দুদক অনুসন্ধান করতে পারতো তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে আসত। তবে আমরা আশাবাদী দুর্নীতিবাজদের শিকড় উপড়ে ফেলা সম্ভব সেটি একদিন হবেই।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান
বলেন,আমরা অনেক দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে চাকুরী দেয়া, নিয়োগ, বদলি বাণিজ্য মাউশির কাজ।ডাটা এন্টি হুমায়ুন তাহার সাথে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।তাহার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সাথে জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কি না জানা নেই ।
অভিযোগ পেয়েছি সেটা তদন্তের মাধ্যমে আইন আনুগব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যারাই অপরাধ করুক না কেন আমাদের অনুসন্ধানে যদি কোনোভাবে প্রমাণিত হয়।তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব এবং প্রয়োজনীয় যত ব্যবস্থা আছে তা নেব। কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না।


