
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিভাগের বাকেরগঞ্জে সংখ্যালঘু দোহাই দিয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমানের বাড়ি দখলের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকার জয়দেব সাহার পুত্র সুশান্ত সাহা, টিপু সাহা, শুভ সাহা এবং তাদের মা গীতা রানী ও মিলন সাহা, মিঠুন সাহা, নয়ন দাসসহ ১০/১২জন বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসী মিলে আইনজীবী লুৎফর রহমানের বাড়ির সীমানার নিরাপত্তা প্রাচীরের দেয়াল গুড়িয়ে দেয়া হয়। নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে বাড়ি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
অপরদিকে, অভিযুক্তদের মধ্যে গীতা রানীসহ অন্যরা অন্যদের দাবি তারা আদালতের রায় নিয়ে দেয়াল ভেঙে ফেলেছেন। এছাড়াও তাদের ভাষ্য অনুযায়ী অনুযায়ী, বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের অনুমতি নিয়েছেন তারা। পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন জোমাদ্দারকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান জানান, বিগত ১৯৯৩ সালে জমি কেনা কিনে বাড়ি করার পর থেকেই প্রতিবেশী নামক সন্ত্রাসীরা তাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা করে আসছেন এরই ধারাবাহিকতা এখনো চলমান রয়েছে। তিনি দাবি করেন প্রতিবেশী প্রতিপক্ষরা আমাদের এই বাড়িটি তাদের বলে দাবি করে আসছেন। এই ভিত্তিহীন দাবির কোন সুরাহা চেষ্টা না করে প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হয়রানি অপদস্থ করা হচ্ছে। অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান আরো জানান, আমাদের বাড়িটি বাকেরগঞ্জ মৌজার ১০২ নং খতিয়ানের ১৩৬ নং দাগ অবস্থিত।
অপরদিকে অভিযুক্ত জয়দেব সাহার বাড়ি ভরপাশা মৌজা ১৪৮৬ ও ১৪৮৭ নং দাগে অবস্থিত। এসব তথ্য উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান বলেন দুপক্ষের বাড়ি দুটি আলাদা মৌজায়। এরপরেও তারা দূরভিসন্ধিমূলক কারণে আমাদের বাড়ির মধ্যে জমি দাবী করে একাধিক মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন আমাদের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলায় আপীল বিভাগ থেকেও আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এছাড়া উচ্চ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে জমি নিয়ে করা তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন জোমাদ্দার জানান, অভিযুক্তরা অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে তার কাছে গিয়েছিলেন। তিনি তাদেরকে বলেছেন- ‘আদালতের বিষয় আদালতের মাধ্যমে ফয়সালা করতে হবে। এবিষয়ে তার কিছুই করার নেই। বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, জয়দেব সাহাদের পক্ষ থেকে তাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছিলো। তবে তিনি সীমানা প্রাচীর ভাঙতে বলেননি। ক্ষতিগ্রস্ত লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে তিনি মামলা নিবেন বলেও জানান।


