
নিজস্ব প্রতিবেদক :: নগরীর ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একটি বহুতল ( ১০ তলা) ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্লান বহির্ভূত কাজ করার পাশাপাশি নির্মান কাজেও সিকিউরিটি নিয়মও মানা হচ্ছে না। অনেটা গায়ের জোরে ও সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। রোববার সকালে দশম তলায় নির্মান কাজ করছিলো শ্রমিকরা। এসময় দুটি ইট খসে পড়ে পাশেই অবস্থিত একটি টিনের ঘরের বাথরুমে। দুটি ইট টিন ভেঙে বাথরুমের ফ্লোরে এসে পড়ে। ওই সময় বাথরুমে ছিলেন এক কিশোরী। মাত্র দুই ফিটের জন্য শরীরে আঘাত করেনি ইট দুটি। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষনিক স্থাণীয়ভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বাসার মালিক বাদল বলেন-১০ তলার নির্মান কাজ করছে চারপাশে ঘনবসতি এবং রাস্তা। এ ধরনের কাজ করতে গেলে সবাই সেইভ সিকিউরিটির জন্য নেট বা টিনের চালা ব্যবহার করে যাতে নির্মান সামগ্রী নিচে পড়ে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কিন্তু তারা কোন নেট বা টিন ব্যবহার করেনি। যে কারনে দুটি ইট এসে আমার ঘরের বাথরুমে পড়ে। তিনি বলেন- ওই সময় আমার মেয়ে বাথরুমে ছিলো। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। ঘটনার পর আমরা উত্তেজিত হলে তারা তাৎক্ষনিক একটি নেট বিছিয়ে দেয়। বাদল আরো বলেন-ভবনটি নির্মানের শুরু থেকেই অনিয়ম করে আসছে। তারা আমাদের জমি দখল করে ভবনটি নির্মান করছে এবং সিটি করপোরেশন বিরোধপূর্ণ থাকা অবস্থায় প্লান অনুমোদন দিয়েছে। ভবন মালিকরা আওয়ামী লীগ সরকারের এক মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সব ধরনের ফায়দা লুটছে। এখনও তাদের পেশী শক্তি বহাল আছে। জানা গেছে ভবনটিতে ২২ জন শেয়ার। যাদের বেশীর ভাগ প্রবাসী এবং বরিশালের স্থানীয় বাসিন্দা।
এদিকে বিষয়টি তাৎক্ষনিক বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।


