
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সদর উপজেলার মুকুন্দপট্টি এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আদালতের নির্দেশ মানতে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছে থানা পুলিশ। এরই মধ্যে চরবাড়িয়ার চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ কিছু লোকজন ওই জমিতে রাস্তা নির্মাণের কাজ করতে গেলে ৯৯৯ এ অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে কাউনিয়া থানা পুলিশ। থানা পুলিশ উভয়কে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলেছেন। তবে চেয়ারম্যান দাবী রাস্তা নির্মাণের জন্য নয় সে ওই জায়গা পরির্দশনের জন্য গিয়েছিলেন।
জানা গেছে, ওই এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে হারুণ খানের সাথে মৃত ফজলে আলী খানের ছেলে মোহাম্মদ আলী খানের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জের ধরে আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করে উভয় পক্ষ। আদালত ওই জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে রাস্তা নির্মাণের জন্য চেয়ারম্যান সুরুজ ও মেম্বার সোহাগ ওই জমিতে যান বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ আলী খান। এ সময় তিনি (মোহাম্মদ আলী খান) ৯৯৯ এ অভিযোগ দেন। এরপর কাউনিয়া থানা পুলিশ এসে জমিতে কাজ না করার অনুরোধ করে। পরে চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ অন্যান্যরা চলে যায়।
এ বিষয়ে চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাতাব উদ্দিন সুরুজ বলেন, ওই জয়গাটি পরিদর্শনের জন্য গিয়েছিলাম। পরে বিষয়টি নিয়ে জিলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, ৯৯৯ এ অভিযোগ পাওয়ার পরে মুকুন্দপট্টিতে আমাদের একটি টিম পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু ওখানে কোন শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়নি। চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই জায়গা পরিদর্শন করতে গিয়ে ছিলেন। এছাড়া গত ৫ ডিসেম্বরের ঘটনায় কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেনি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মুকুন্দপট্টিতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।