ঢাকাসোমবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আ.লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩ ২:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: আ.লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বরাকোঠা ইউনিয়নের ডাবের বাজারে গত শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। আহত দুই জনকে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও আহতরা জানান, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উজিরপুর উপজেলার বরাকোঠা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. সহিদুল ইসলামের সঙ্গে বরাকোঠা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারন সম্পাদক মো. কামাল হোসেনের (৪৮) দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছিল।

বরাকোঠা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম. জামাল হোসেন শনিবার সন্ধ্যায় আমাকে নিয়ে নৌকার প্রচারণায় নামেন। পৃথকভাবে নৌকার প্রচারনায় নামেন আমার প্রতিপক্ষ ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম। আমকে রাত ৭ টর দিকে ডাবেরকুল বাজারে পৌছলে উপজেলা সভাপতি জামাল হোসেনের সঙ্গে আমাকে দেখে চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হন এবং গালাগাল করেন। আমি চেয়ারম্যানের গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান আমাকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। সংঙ্গে সঙ্গে তার সমর্থক ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন বেপারীর নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন সমর্থক আমার উপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে।অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন বেপারী বলেন, কামাল হোসেন তার সমর্থকদের নিয়ে আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাকে আহতসহ আমার তিন সমর্থককে আহত করেছে।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, হামলার সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার সামনে লিটন মেম্বরের সঙ্গে কামালের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস, এম, জামাল হোসেনের কাছে জানতে তিনি তার সামনে সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, নিজেদের মধ্যে ছোট খাট ঘটনা ঘটেছে যা নিয়ন্ত্রন ও উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছি।

উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. তৌহীদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় কোন পক্ষই এখনো মামলা করেনি। অবিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।