নিউজ ডেস্ক :: ফিলিস্তিনিদের ওপর যেন বোমা মারার রেকর্ড গড়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে ইসরায়েল। বলা হচ্ছে, গাজায় প্রথম ছয়দিনেই যে পরিমাণ বোমা ছুড়েছে দেশটি, গোটা আফগানিস্তানে এক বছরেও তা ছোড়েনি যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের দাবি, এ পর্যন্ত উপত্যকাজুড়ে ১২ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলা হয়েছে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ভয়ঙ্কর পারমাণবিক অস্ত্রের সমতুল্য। তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদুলুর একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
বলা হচ্ছে, যুদ্ধ শুরুর ১৮ দিন ধরে বিরতিহীনভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে তেলআবিব। খোদ ইসরায়েলের দেয়া তথ্য বলছে, প্রথম ছয়দিনে ছোড়া হয়েছিল ৪ হাজার টন ওজনের মোট ছয় হাজার বোমা। বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানে এক বছরে মোট যত বোমা মেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র, এই কয়দিনেই তা ছাড়িয়ে গেছে ইসরায়েল। গোটা উপত্যকায় নিরাপদ বলতে আর কোনো জায়গাই যেন আর অবশিষ্ট নেই।
গাজার নিরীহ মানুষদের অভিযোগ, শত্রুরা এতটাই উগ্র আর জঘন্য যে ধর্মীয় উপাসনালয়ও ছাড়ছে না। গির্জায়ও বোমা মেরেছে দখলদাররা। খ্রিস্টান, মুসলিম কাউকে ছাড়ছে না। তাদের এই যুদ্ধ কেবল বেসামরিক মানুষদের বিরুদ্ধে।
এদিকে, দিন যত গড়াচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে নেতানিয়াহুর সেনারা। পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ডের প্রতি বর্গ কিলোমিটারে গড়ে বিস্ফোরক পড়েছে ৩৩ টন। হামাস বলছে, এই পরিমাণ বিস্ফোরকের যে ক্ষয়ক্ষতি তা ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমায় ছোড়া পারমাণবিক বোমার ক্ষয়ক্ষতির সমতুল্য।
ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন চালাতে প্রতিদিন গড়ে ২৪৬ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে। যেন বিস্ফোরক ব্যবহারে অতীতের সব যুদ্ধের রেকর্ড ভাঙার প্রতিযোগিতায় নেমেছে দেশটি। গাজার বাসিন্দারা ইতিহাসের সবচেয়ে ভারী বোমাবর্ষণের সাক্ষী হলো কিনা এরইমধ্যে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রশ্ন, তাদের ওপর চালানো এই বর্বরতা শেষ হবে কবে?