ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৮ জানুয়ারি ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে নতুন নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জানুয়ারি ১৮, ২০২৪ ৮:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক  :: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। গত ১০ জানুয়ারি এতে স্বাক্ষর করেছেন সচিব সোলেমান খান, যা পরিপত্র আকারে শিক্ষা অফিসগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এর ফলে গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নিয়োগ অনিয়ম-দুর্নীতি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সনদে ১২, লিখিত পরীক্ষায় ৮০ এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৮ নম্বর বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী যেমন অফিস সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, ল্যাব সহকারীর মতো সব পদে সনদে রাখা হয়েছে ৬, লিখিত পরীক্ষায় ৩৫ ও মৌখিকে ৯ নম্বর রাখা হয়েছে। তাদের মোট নম্বর ৫০। অফিস সহকারী, ঝাড়–দার, নৈশপ্রহরীর মতো চতুর্থ শ্রেণির পদে সনদে কোনো নম্বর রাখা হয়নি। লিখিত পরীক্ষায় ২০ ও মৌখিকে ১০ নম্বর রাখা হয়েছে। মোট ৩০ নম্বর। তবে সব প্রার্থীকে উত্তীর্ণ হতে লিখিত পরীক্ষায় কমপক্ষে ৪০ নম্বর পেতে হবে। প্রার্থীদের আলাদাভাবে প্রাপ্ত নম্বর প্রদর্শন করতে হবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০২১’ এবং এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শূন্য বা নবসৃষ্ট পদের প্রাপ্যতা নিরূপণ করবে। শূন্য পদের ধরন (কাঠামোভুক্ত, সৃষ্ট, অননুমোদিত সৃষ্ট, খ-কালীন, চুক্তিভিত্তিক) উল্লেখপূর্বক শূন্য পদের বিবরণী প্রণয়ন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত গভর্নিং বডি বা ব্যবস্থাপনা কমিটি বিদ্যমান না থাকলে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।

প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগ করা যাবে না। প্রাপ্যতাবিহীন পদে কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী নিয়োগ করা হলে তার সমুদয় দায়ভার নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে নিয়োজিত সবার ওপর ব্যক্তিগতভাবে বর্তাবে। নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীর শতভাগ বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহন করতে হবে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি পদ অর্থাৎ সহকারী শিক্ষক বা প্রভাষক পর্যায়ের পদগুলোতে নিয়োগের সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এর বাইরের অন্য পদগুলোতে নিয়োগ দেয় গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি।