ঢাকাশুক্রবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ ৫:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

বরিশালের বাজারে সব ধরনের চালের দাম ভোক্তা পর্যায়ে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। গত ২ সপ্তাহের ব্যবধানে অস্থির হয়ে উঠেছে বরিশালের চালের বাজার। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। চালের দাম বৃদ্ধির জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা দুষছেন আড়তদারদের। অপরদিকে আড়তদাররা চালের দাম বৃদ্ধির জন্য মিলারদের দায়ী করেছেন।

শুক্রবার বরিশালের বাজারে ২৮ বালাম চাল প্রতি কেজি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৮ টাকা এবং মোটা চাল (বুলেট) প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। গত ১৫ দিন আগে ২৮ বালাম প্রতিকেজি ৫৬ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা এবং মোটা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা কেজি দরে।

নগরীর দক্ষিন আলেকান্দা খান সড়কের দোকানী কাজী জহুর জানান, গত ১৫ দিনে ২৮ বালাম চাল ২৫ কেজির বস্তায় ১শ’ টাকা, মিনিকেট ১শ’ ২০ টাকা এবং মোটা চাল প্রতি বস্তায় ৭৫ টাকা বেড়েছে। নির্বাচনের কারনে সরবরাহ কম থাকায় সব চালের দাম বেড়েছে বলে তিনি জানান।

নগরীর পোর্ট রোডের একটি দোকানের খুচরা ক্রেতা জসিম উদ্দিন খান জানান, চালের দাম বৃদ্ধিার কারনে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। গত মাসের চেয়ে প্রতি বস্তা চালে ১শ’ থেকে ১শ’ ২০ টাকা বেড়েছে। এতে আর্থিক চাপে পড়েছেন তারা। সিন্ডিকেটের কারনে চালের দাম হু হু করে বেড়েছে। এর লাগাম টেনে ধরতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

খুচরা বিক্রেতা মো. ফজলু জানান, চালের দাম বৃদ্ধিার কারনে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। আগে যারা ১০ কেজি কিনতেন, এখন তারা ৭ কেজি চাল কিনছেন। আড়ত থেকে যে দামে চাল কিনছেন সেই দামের সঙ্গে সামান্য লাভ রেখে ভোক্তা পর্যায়ে চাল বিক্রি করেন তারা।

নগরীর ফরিয়াপট্টি চালের আড়তের ক্রেতা আবদুর রহমান জানান, গত মাসে যে চালের বস্তা ১ হাজার ২শ’ টাকায় কিনেছেন, এই মাসে সেই চাল কিনেছেন ১ হাজার ২শ’ ৫০ টাকায়।

ফরিয়াপট্টির আড়তদার বাঁধন ট্রেডাসের দ্বীপ কুমার জানান, মোকাম থেকে তারা যে দরে চাল কেনেন সেই দরের সঙ্গে কেজি প্রতি ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা লাভ রেখে দোকানীদের কাছে চাল বিক্রি করেন। দোকানীরা প্রতি কেজি চালে ৫ থেকে ৬ টাকা লাভ করেন। তারাই (খুচরা দোকানী) চালের দাম বৃদ্ধি করেছেন বলে মন্তব্য তার।