নিজস্ব প্রতিবেদক :: কাউখালীতে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছেন হিন্দু শিক্ষক, অভিভাবকদের অসন্তোষ
পিরোজপুরের কাউখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছে হিন্দু শিক্ষক অভিভাবকের অসন্তোষ প্রকাশ। উপজেলার ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন মুসলিম শিক্ষক না থাকার কারণে বাধ্য হয়ে হিন্দু শিক্ষকরা ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছে, ফলে ছাত্র অভিভাবকরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না এবং তারা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। উপজেলার চিরাপারা পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষকের ভিতরে কোন মুসলিম শিক্ষক নেই ফলে বাধ্য হয়ে হিন্দু শিক্ষকরা মুসলিম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছে, এতে করে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের ভিতরে অসন্তোষ ও ক্ষোভ রয়েছে। অত্র বিদ্যালয়ের ৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রী সবাই মুসলিম, এ বিদ্যালয় কোন হিন্দু ছাত্র-ছাত্রী নেই। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ্মরানি দত্ত বলেন, মুসলিম শিক্ষক না থাকার কারণে আমরা হিন্দু শিক্ষক দ্বারা ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নেওয়া হয়। এতে কিছুটা সমস্যা হয়।উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সয়না রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন মুসলিম শিক্ষক না থাকায় বাধ্য হয় হিন্দু শিক্ষকরা ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছে। অত্র বিদ্যালয়ের ৬৮ জন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে ৪৭ জন মুসলিম শিক্ষার্থী ও ২১জন হিন্দু শিক্ষার্থী রয়েছে। উক্ত বিদ্যালয় পাঁচ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও মাত্র তিন জন শিক্ষক রয়েছে। এর ভিতরে একজন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গেলে অথবা উপজেলার বিভিন্ন মিটিংয়ে গেলে তখন দুই জন শিক্ষক দ্বারা কোনমতে ক্লাস পরিচালনা করা হয়। উপজেলার আমরাজুরি ইউনিয়নের গন্তব্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রোঙ্গা কাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও কোন মুসলিম শিক্ষক নেই। এসকল বিদ্যালয়েও বাধ্য হয়ে হিন্দু শিক্ষকরা ইসলাম শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছে। ৩৪ নং সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিভাবক আয়েশা বেগম বলেন আমার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। এ বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী মুসলিম অথচ এই বিদ্যালয়ে কোন মুসলিম শিক্ষক নাই। আমাদের ছেলেমেয়েদের হিন্দু শিক্ষকরা ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার ক্লাস নিচ্ছে এতে করে আমাদের ছেলেমেয়েদের ক্লাসে সমস্যা হচ্ছে। আরবি হরফ সহ কিছু হাদিস কোরান আছে যাহা মুসলিম শিক্ষক ব্যতীত হিন্দু শিক্ষকের পক্ষে পড়ানো একেবারে সম্ভব না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে বদলি করার কোন সুযোগ নেই, বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে বদলি প্রক্রিয়া চলমান বিধায় সমন্বয় করার কোন সুযোগ নেই তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে বদলি করার সুযোগ থাকলে আমরা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমন্বয় করতে পারতাম। বিষয়টি আমি মাসিক সমন্বয় সভা ও জেলা প্রশাসকের মিটিংয়ে উপস্থাপন করা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করব।