ঢাকাশনিবার , ১৩ জুলাই ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চলতি বছর পবিত্র হজে গিয়ে ৬৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ১৩, ২০২৪ ৭:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: চলতি বছর পবিত্র হজে গিয়ে ৬৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

 

চলতি বছর পবিত্র হজপালনে সৌদি আরবে গিয়ে ৬৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাদের মধ্যে ৫১ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। এদের মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ৫০ জন, মিনায় ৭ জন, মদিনায় ৫ জন ও জেদ্দায় দুইজন। শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল পিলগ্রিমের ডেথ নিউজে এসব তথ্য জানা গেছে।

পিলগ্রিমের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত ১৬ জুন সবচেয়ে বেশি ১০ জন হজযাত্রী মারা যান। মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকারই ১২ জন।

পিলগ্রিম সূত্রে জানা যায়, এ বছর হজে গিয়ে গত ১৫ মে প্রথম মারা যান— নেত্রকোণার কেন্দুয়ার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭)। এরপর ১৮ মে মারা যান— ভোলা সদরের মো. মোস্তোফা (৮৯), ২১ মে মারা যান— কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর মো. লুৎফর রহমান (৬৫)।

২৩ মে মারা যান— ঢাকার নবাবগঞ্জের মো. মুর্তাজুর রহমান খান (৬৫) ও চট্টগ্রামের ফতেপুরের মো. ইদ্রিস (৬৪)।

২৫ মে মারা যান— ঢাকার কদমতলীর মো. শাজাহান (৪৮)।

২৬ মে মারা যান— কুমিল্লার কোতোয়ালীর মো. আলি ইমাম ভূইয়াঁ (৬৫) ও কক্সবাজারের মহেশখালীর জামাল উদ্দিন ৬৯)।

৩১ মে মারা যান— কক্সবাজারের রামুর মো. নুরুল আলম (৬১)।

এ ছাড়া গত ২ জুন মারা যান— কক্সবাজারের চকরিয়ার মাকসুদ আহমেদ (৬১), ৫ জুন যান— ফরিদপুরের নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ৬ জুন— ঢাকার খিলগাঁওয়ের এসকে আরিফুল ইসলাম (৫৭), ৯ জুন— গাইবান্ধার সাঘাটার মো. সোলাইমান (৭৩)।

১০ জুন মারা যান— রংপুরের পীরগঞ্জের মো. সাহাজুত আলী (৫৫) ও রংপুরের তারাগঞ্জের মো. গোলাম কুদ্দুস (৫৫)।

১২ জুন মারা যান— কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মো. সোলায়মান (৭৭) ও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার সুফিয়া আকতার খাতুন (৬২)।

১৩ জুন মারা যান— বগুড়ার সোনাতলীর মো. রেজাউল করিম মণ্ডল (৬১)।

১৬ জুন মারা যান— টাঙ্গাইল সদরের মো. আলমগীর হোসেন খান (৭৩), ঢাকার মোহাম্মদপুরের রওশন আরা বেগম (৭২), ঢাকার বংশালের মো. মনির হোসেন (৫৯), ঝিনাইদহের কোট চাঁদপুরের সাফিয়া বেগম (৮৭), সাতক্ষীরা সদরের মোহাম্মদ আব্দুল গাফ্ফার (৬৩), ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মো. আতাউল হক (৬৯), ঢাকার ধানমণ্ডির সৈয়দ ওয়াহিদুর রহমান (৭১), খুলনার সোনাডাঙ্গার মো. কামরুল ইসলাম (৭০), ঝালকাঠি সদরের আব্দুর রব মিয়া (৫৬) ও কুষ্টিয়া সদরের কাজী মকসুদুল হক (৬৭)।

১৭ জুন মারা যান তিনজন— নোয়াখালীর সেনবাগের মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৮), পিরোজপুরের নেসারাবাদের নার্গিস (৬০), নোয়াখালীর হাতিয়ার মো. রফিকুল হাই (৫৬), রাজবাড়ী সদরের মো. আশরাফুল আলম (৬১) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের মো. শরিফুল ইসলাম (৫৪)।

১৮ জুনও মারা যান— ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের মো. তোফাজ্জল হক (৭০), নরসিংদীর রায়পুরার মো. সিদ্দিকুর রহমান (৪৮), ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকজার মো. আমিরুল ইসলাম (৬৫) ও বরিশালের কোতয়ালির মো. মশিউর রহমান বাবুল (৫১)।

১৯ জুন মারা যান— কিশোরগঞ্জ সদরের ফরিদা ইয়াসমিন (৫৩), নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টের মো. জহিরুল ইসলাম (৭৩), খুলনার ফুলতলার মনিরুল ইসলাম সরদার (৫৭) ও ঢাকার উত্তরার মনোয়ারা হক (৬৩)।

২০ জুন মারা যান— মাদারীপুরের শিবচরের মো. ইদিস খান (৬৬), ঢাকার বাড্ডার উম্মে কুলসুম (৪৭), বরিশালের হিজলার মো. আবু বকর সিদ্দিক (৫৯) ও ঝালকাঠির রাজাপুরের নূর মোহাম্মদ তালুকদার (৬৮)।

২১ জুন মারা যান— যশোরের অভয়নগরের মো. শহিদুল ইসলাম (৪৯) ও চট্টগ্রামের রাউজানের এএসএম নুরুদ্দিন চৌধুরী (৭২)।

২২ জুন মারা যান— খুলনা সদরের এম এম এ বকর (৬২), দিনাজপুর সদরের মোসা. নূর বানু (৬১) ও ফেনী সদরের হালিমা খাতুন (৬২)।

২৩ জুন মারা যান— ঢাকার ডেমরার সৈয়দ তামেজ আলী (৬৭)।

২৪ জুন মারা যান— মেহেরপুর সদরের মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস (৬৪), খুলনার ডুমুরিয়ার মনোয়ারা বেগম (৫৯) ও ঢাকার খিলগাঁওয়ের মাকসুদা খাতুন (৫৭)।

২৫ জুন মারা যান— নওগাঁ সদরের নাসরিন বানু (৬৪)।

২৬ জুন মারা যান— সিরাজগঞ্জ সদরের এস এম আনিসুজ্জামান (৭০)।

২৭ জুন মারা যান— নরসিংদীর মনোহরদীর মো. হারুনুর রশিদ (৬৮)।

২৯ জুন মারা যান— ফরিদপুরের নগরকান্দার সৈয়দ লিয়াকত আলী (৬৪)

৩ জুলাই মারা যান— নাটোর সদরের মো. আব্দুস সবুর মিয়া (৬৯)

৪ জুলাই মারা যান— সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের মো. ইসমাইল হোসেন (৬৪) ও যশোরের কতোয়ালির মো. আলী আকবর (৬২)।

৫ জুলাই মারা যান— চট্টগ্রামের পটিয়ার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (৬৩)।

৮ জুলাই মারা যান— নীলফামারী সদরের সৈয়দ জহুরুল ইসলাম (৬৯)।

সর্বশেষ ১১ জুলাই মারা যান— চট্টগ্রামের আনোয়ারার মোহাম্মদ মিয়া (৭৪)।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মৃত্যুবরণ করেন তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। মৃতদেহ তার নিজ দেশে নিতে দেয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না।’