নিজস্ব প্রতিবেদক :: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, হল ছাড়বে না শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আবাসিক হলগুলোও ছাড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। এমন নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা হল ছেড়ে যাবেন না।
বুধবার (১৭ই জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গতকাল রাতে আবাসিক শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা হল ছাড়বেন না। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তারা যে ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তা বানচাল করতেই সরকার থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য সুজয় শুভ বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবে না। কেউ বন্ধ করতে আসলে খবর আছে। সবাই কর্মবিরতিতে। একমাত্র আমরাই আছি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবে কি হবে না তা ঠিক করবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা দিয়া অফিস আদেশ আসার কি আছে। তিনি আরো বলেন, হল খালি করতে পারবে না। বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিলে, পানির লাইন কেটে দিলেও আমরা হল থেকে নামবো না ।
চলমান পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে ইউজিসি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে দেয়া এক চিঠিতে শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলও ছাড়তে বলা হয়েছে।
শেরে বাংলা ও বঙ্গবন্ধু হলের প্রায় ১০জন আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তাঁরা বলেন, কোটা আন্দোলকে বানচাল করতে সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা এই ঘোষণা মানি না, আমরা হল ছাড়ছি না আমাদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন যেমন চলবে তেমনি আমরা হলেই অবস্থান করব।
শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এক আবাসিক শিক্ষক বলে গেছেন ব্যাগ পত্র গুছিয়ে নেয়ার জন্য। কিন্তু আমরা এই আন্দোলনের মধ্য কোথায় যাব? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই আন্দোলনের মধ্য কোথাও যাব না হলে আছি হলেই অবস্থান করব।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনায় নিরাপত্তার স্বার্থে হল ও ক্যাম্পাস বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। ঐ নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে গত মঙ্গলবার ও আগের দিন সোমবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।