![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিউজ ডেস্ক :: হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ
প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। শুষ্কতায় বাতাসে বাড়ছে দূষণ, ধূলিকণা। কমছে আর্দ্রতা। আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মানবজীবনে। ডেঙ্গুর প্রকোপ একটু কমলেও নির্মূল হয়নি এখনো। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে জ্বর, ঠান্ডা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। হাসপাতালে ছোটা রোগীদের মধ্যে বয়স্ক রোগীই বেশি। শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগের পাশাপাশি হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ রোগ নিয়েও ছুটছে হাসপাতালে।
রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ঠান্ডাজনিত জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার রোগীই বেশি।গত ১ নভেম্বর শিশু হাসপাতালে সকাল থেকেই ছিল দীর্ঘ লাইন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুপুরে ১২টার দিকেও দেখা যায় বহির্বিভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কমপক্ষে ৫০ জন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ বাড়তি রোগী আসছে প্রতিদিন।শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, শিশুকে কোলে নিয়ে কিংবা বেঞ্চে বসিয়ে রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন মা-বাবা কিংবা স্বজনরা। অনেকে বসার জায়গা না পেয়ে মেঝেতেও বসেছেন। জরুরি বিভাগের ১৩৫ নম্বর কক্ষে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন তিনজন চিকিৎসক ও একজন নার্স।
সিরিয়ালের জন্য রোগীদের দীর্ঘ লাইন
শ্বাসজনিত সমস্যা নিয়ে আসা একমাস বয়সী শিশু সাইদুরের মা জাগো নিউজকে বলেন, রাত থেকে কান্নাকাটি করছে সাইদুর। নাক বন্ধ হয়ে ছিল। নিশ্বাস নিতে পারছিল না। সকালে গলায় আওয়াজ হচ্ছিল আর সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসছি।
হাসপাতালের ইমার্জেন্সি অবজারভেশন অ্যান্ড রেফারেল ওয়ার্ডের সবকয়টি বিছানা শিশু রোগীতে পরিপূর্ণ থাকতে দেখা যায়। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক-নার্সরা জানান, ভর্তি বেশির ভাগ শিশুই ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে এসেছে।
![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/uploads/2023/11/BestFarma-213x300.jpeg)