নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে অ্যাডহক কমিটি গঠন
বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের নতুন অ্যাডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আ.ন.ম আঃ হালিমকে সদস্য সচিব করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাডহক গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, দাতা সদস্য মনোনীত হয়েছেন বাবুগঞ্জের কৃতি সন্তান,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,শিকদার ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী,বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ আরিফুর রহমান শিমুল শিকদার।
এছাড়াও কমিটিতে বাবুগঞ্জের কৃতি সন্তান,সাবেক বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা, রূপায়ণ গ্রুপের ভূতপূর্ব কোম্পানি সেক্রেটারি ও সোয়ান গ্রুপের উপ ব্যাবস্হাপনা পরিচালক, বর্তমানে বেষ্ট ওয়ে গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এস এস সফিউল্লাহ্কে বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক মোঃ শহিদুল ইসলামকে সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
আগামী ৬ মাস এই অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব পালন করবে বলে জানা গেছে এবং সময়ের মধ্যে নিয়মিত গভর্নিং বডি গঠনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে কমিটিকে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি গঠন সংক্রান্ত অধিভুক্ত কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের গভর্নিং বডি (সংশোধিত) সংবিধি ২০১৯ এর ৭ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) এ মনোনয়ন যে কোনও সময় প্রত্যাহারের ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
জানা গেছে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আত্মগোপনে চলে যায়। অধিকাংশ সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগের পদধারী ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। জনরোষ থেকে বাঁচতে তারা আত্মগোপনে চলে যান। পরিচালনা পর্ষদের অনুপস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। বেতন বিলে কে স্বাক্ষর করবেন, এ নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা।
সার্বিক বিবেচনায় ২০ আগস্ট দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসকের মনোনীত প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মহানগর এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার বা বিভাগীয় কমিশনারের মনোনীত প্রতিনিধিকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও সমস্যা কাটেনি। যে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ অ্যাডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সরকার।