নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্রাবাসের জমি দখলের চেষ্টা।
সরকারি ব্রজমোহন কলেজের পরিত্যাক্ত ছাত্রাবাসের জমি ব্যাক্তি মালিকানার সাইনবোর্ড টানিয়ে দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএম কলেজ সড়কের সোবাহান মিয়ার পুল সংলগ্ন পুরাতন ছাত্রাবাস দেবেন্দ্র ভবনের ওই জমিটি হাবিবুর রহমান শামিম নামের এক ব্যাক্তি ভূয়া কাগজ তৈরি করে দখলের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে অভিযোগকারিরা।
শুক্রবার গভীর রাতে দখলে নিতে নিজ নামের সাইনবোর্ড টানালে তা ছাত্ররা দিনে অপসারন করেছে। দখলের চেষ্টা করা হাবিবুর রহমান শামিম সোবাহান মিয়ার ছেলে এবং এলাকার চিহ্নিত দখলদার হিসেবে পরিচিত। তার এমন কাজের প্রতিবাদে বিএম কলেজের ছাত্ররা কঠোর অবস্থানে যাবে বলে নিশ্চিত করেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় এগোবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
বিএম কলেজের একটি সূত্র জানায়, বিএম কলেজের বেশ পূরাতন ছাত্রাবাস দেবেন্দ্র ভবন। পূর্বে এই ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীরা থাকলেও বেশ কয়েক বছর আগে ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়ায় ভবনটি পরিত্যাক্ত হয়। এর পর থেকেই ওই জমিটিতে নজর পরে সোবাহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান শামিমের। দীর্ঘদিন থেকেই জমিটি দখলের নানা ধরনের চেষ্টা করে আসছে সে। সেই ধারাবাহিকতায় জমির একটি জাল কাগজ তৈরি করে শুক্রবার গভীর রাতে তার নামের মালিকানার সাইনবোর্ড টানায় জমি দখলের উদ্দেশ্যে। সকালে বিষয়টি ছাত্ররা জানলে তা অপসারন করে ফেলে।
এ বিষয়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেবেন্দ্র ভবন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের পূরাতন একটি ছাত্রাবাস ছিল। দীর্ঘদিনের পূরাতন এই ভবনটি ঝুকিপূর্ন হয়ে পরলে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়। তবে ওই জমিটি এখনও কলেজের। সেখানে বর্তমানে কলেজের কর্মচারিরা বসবাস করছে।
শুক্রবার খুব সকালে হাবিবুর রহমান নামের কোন এক ব্যাক্তি কলেজের ওই জমি নিজের দাবি করে একটি সাইনবোর্ড টানায়। এই বিষয়টি নিয়ে কলেজ প্রসাশন ব্যাবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বর্তমানে কলেজ বন্ধ থাকায় তড়িৎ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলেও বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই আইনী প্রক্রিয়ায় এগোবেন বলে জানান তিনি।