ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৭ অক্টোবর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যে ৭ আমলে তাহাজ্জুদের সমমান সওয়াব পাওয়া যায়

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
অক্টোবর ১৭, ২০২৪ ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

ইসলাম ও জীবন :: যে ৭ আমলে তাহাজ্জুদের সমমান সওয়াব পাওয়া যায়

সবচেয়ে মর্যাদাময় ও ফজিলতপূর্ণ নফল ইবাদত হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। নবীজি প্রতিদিন এই নামাজ পড়তেন। কখনো ছাড়তেন না। আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হওয়ার অন্যতম আমল এটি।তাহাজ্জুদের ফজিলত সম্পর্কে রসুলুল্লাহ (স.) বলেন, আল্লাহ তাআলা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে বলতে থাকেন, কে আছে এমন যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছে এমন যে আমার নিকট চাইবে? আমি তাকে তা দেব। কে আছে এমন যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি ১১৪৫)

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনায় আছে যে তিনি বলেন, হে আবদুল্লাহ, কিয়ামুল লাইল (তাহাজ্জুদের নামাজ) কখনো ছেড়ো না। কারণ, রসুলুল্লাহ (স.) তা কখনো ছাড়েননি। কখনো অসুস্থতা বা দুর্বলতা বোধ করলে বসে আদায় করতেন। (আবু দাউদ ১৩০৯)অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই নামাজ আদায় করা হয়ে ওঠে না। কেউ যদি এর সওয়াব পেতে চায় তাহলে কিছু আমল করলে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সওয়াব পাবে। এরকম সাতটি আমল তুলে ধরা হলো।

এক. এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা: রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল, সে যেন পূর্ণ রাত নফল (তাহাজ্জুদের) নামাজ আদায় করল।’ (আবু দাউদ ৫৫৫, মুসলিম ৬৫৬)

দুই. রাতে পবিত্র কোরআনের ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করা: রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করবে, তার জন্য পুরো রাত ইবাদতে কাটানোর সওয়াব লেখা হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ ১৬৯৫৮; নাসায়ি ১০৪৮৫)

তিন. রাতে ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার নিয়ত করে শোয়া: রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার নিয়ত করে ঘুমাতে যায়, এরপর চোখে প্রবল ঘুম থাকার কারণে জাগতে জাগতে ভোর হয়ে যায়, এ জন্য তার নিয়ত অনুসারে সওয়াব লেখা হবে এবং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তার ঘুম তার জন্য সদকাস্বরূপ হবে। (নাসায়ি ১৭৮৭, ইবনে মাজাহ ১৩৪৪)চার. ইমামের সঙ্গে পরিপূর্ণভাবে তারাবির নামাজ আদায় করা: আবুজর গিফারি (রা.)-এর এক প্রশ্নের উত্তরে রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইমামের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত নামাজ (তারাবির নামাজ) আদায় করে, তাহলে তাকে পুরো রাত নামাজ আদায়কারী হিসেবে গণ্য করা হবে।’ (আবু দাউদ ১৩৭৫; নাসায়ি ১৩৬৪)

পাঁচ. বিধবা ও মিসকিনদের পাশে দাঁড়ানো: রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘বিধবা ও মিসকিনদের অভাব দূর করার জন্য সচেষ্ট ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদের মতো অথবা ওই ব্যক্তির মতো (সওয়াব পাবে), যে রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে এবং দিনে রোজা রাখে।’ (বুখারি ৫৩৫৩, মুসলিম ২৯৮২)ছয়. যথাযথ আদব ও সুন্নত মেনে জুমার নামাজ আদায় করা: রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন (ফরজ গোসলের মতো) ভালোভাবে গোসল করবে, সকাল সকাল (মসজিদের উদ্দেশে) ঘর থেকে বের হবে, কোনো বাহনে না চড়ে পায়ে হেঁটে মসজিদের যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে এবং কোনো ধরনের অনর্থক কথা না বলে মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনবে; সে মসজিদে যাওয়ার প্রতি কদমের বিনিময়ে এক বছর রোজা রাখা এবং রাতভর তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।’ (আবু দাউদ ৩৪৫, ইবনে মাজাহ ১০৮৭)

সাত. আল্লাহর রাস্তায় দীনের জন্য পাহারাদারি করা: রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘এক দিন ও এক রাত আল্লাহর রাস্তায় সীমান্ত পাহারা দেয়া এক মাস যাবৎ রোজা রাখা এবং রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার চেয়েও শ্রেষ্ঠ।’ (মুসলিম ১৯১৩)