
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে সরকারের উপ সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব পদের কর্মকর্তাদের কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব প্রদান করায় নগরবাসীর দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর পুলিশের ক্রাইম এন্ড অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার ( ১২ নম্বর ওয়ার্ড)। যার পদ মর্যাদা একজন অতিরিক্ত ডিআইজির সমান। ১১ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিটিসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজারকে। যিনি কোম্পানীর একাধিক পদের দায়িত্বে থাকায় বেশীরভাগ সময়ই বরিশালে থাকছেন না। ৭ ও ৮নম্বর ওয়র্ডের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে। বিভাগের ৬টি জেলার দায়িত্বে থাকায় বেশীরভাগ সময় তাকে পরিদর্শন ও সফরে বাইরে থাকতে হচ্ছে। নগরীর ১৩ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বরিশাল সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে। যিনি বরিশালের ৪টি জেলায় সড়ক অধিদপ্তরের উন্নয়ন ও রক্ষনাবেক্ষন কর্মকান্ডের নজরদারী ও তত্ত্বাবধান করে থাকেন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। এলজিইডির বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে নগরীর ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডলকে নগরীর ১৫ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের, সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ২৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের, বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালককে ২৭ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালককে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে,পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিষ্টকে ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সহকারী পরিচালককে ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক রায়হান কাওছার বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব যাদের দেয়া হয়েছে সেসব সরকারী কর্মকর্তদের মাঝে মাঝে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের অফিসে বসতে বলা হয়েছে। সব কিছুই গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগছে।