
নিজস্ব প্রতিবেদক :: গৌরনদীতে বিএনপি নেতার নির্দেশে দুই নেতাকে হা*তু*ড়ি পে*টার অভি*যোগ।
গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে দুই নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, হাট ও বাজারের দরপত্র ক্রয়কে কেন্দ্র করে বিএনপির উপজেলা পর্যায়ের এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাতে এ ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির বিশ্বাস এবং বাটাজোর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মামুন সরদারকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির বিশ্বাস অভিযোগ করেন, দরপত্র ক্রয়কে কেন্দ্র করে বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খোকন ফকির ও তার সহযোগীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
মনির বিশ্বাসের ভাষ্যমতে, সম্প্রতি বাটাজোরের হাট ও বাজারের ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে খোকন ফকির তাদের দরপত্র ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা দেন। নিষেধ উপেক্ষা করে দরপত্র কেনার উদ্যোগ নিলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
বুধবার রাতে বিরোধ মীমাংসার কথা বলে খোকন ফকির মনির বিশ্বাস ও মামুন সরদারকে ডেকে নেন। সেখানে পরিকল্পিতভাবে তাদের হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়, এতে তারা গুরুতর আহত হন।
বাটাজোর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মামুন সরদারও অভিযোগ করেন যে, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের নির্দেশে খোকন ফকির দরপত্র ক্রয়ে বাধা দিচ্ছিলেন এবং সেই বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
অন্যদিকে, এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন খোকন ফকির। তিনি দাবি করেন, “আমি এ ঘটনায় সম্পূর্ণ নির্দোষ। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলায় আমাকে মিথ্যাভাবে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানিয়েছেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
হামলার ঘটনায় গৌরনদী বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাতে হাসপাতালে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
এই ঘটনার ফলে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।