
নিজস্ব প্রতিবেদক :: ইলিশের বাড়ি বরিশালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
ইলিশের বাড়ি ভোলা আর বিভাগ বরিশাল। কেননা দেশে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৬৫.৮৮ শতাংশ বরিশাল বিভাগে উৎপাদিত হয়। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলিশ উৎপাদিত হয় ভোলা জেলায়।
বরিশাল বেলস্ পার্কে আজ (মঙ্গলবার) ‘জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে’ এই প্রতিপাদ্যে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বিদেশে ইলিশের চাহিদা অনেক। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রথম চাওয়া দেশের মানুষ যেন ইলিশ খেতে পারে। জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশে ইলিশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও পর্যাপ্ত রপ্তানি করা যাবে। জাটকা সংরক্ষণের জন্য আমরা ক্ষতিকর জাল তৈরি করে এমন সব কারখানা বন্ধ করার কার্যক্রম চলমান রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক নামে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক চালু করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন আমাদের জেলেরা সেখান থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারে। জাটকা সংরক্ষণকালীন জেলেদের যে খাদ্যপণ্য দেওয়া হয় তা পূর্বের চেয়ে বাড়ানোর জন্যও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এসময় তিনি আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কার্যক্রম চলমান থাকবে উল্লেখ করে উপস্থিত সকলকে জাটকা নিধন বন্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (ভোলা) জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইমাম হাসান, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, খুলনা অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিন আজাদ ও নৌ-পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। এসময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, বরিশাল ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণির মৎসজীবী এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে একটি বর্ণাঢ্য নৌ- র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট হতে শুরু হয়ে চরমোনাইতে গিয়ে শেষ হয়।