
নিউজ ডেস্ক :: নীলফামারীর সৈয়দপুরে চিকিৎসকের ভুল অস্ত্রোপচারে সোগরা বেগম (৩২) নামের এক অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার শহীদ তুলসীরাম সড়কে গ্রীন লাইফ ল্যাব অ্যান্ড হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দিয়েছেন।
সোগরা বেগম সাহেবপাড়া আমিন মোড় এলাকার আরিফ হোসেনের স্ত্রী। এ দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোগরা বেগমের ভ্রূণ জরায়ুর বাইরে প্রতিস্থাপিত। একে বলে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি। এ সমস্যা নিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে গ্রীন লাইফ ল্যাব অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি হন। চিকিৎসক জানান অস্ত্রোপচার করতে হবে। রাত ২টার দিকে তাঁকে ওটিতে নেওয়া হয়। ডা. ওয়াজিরা শেফাত জাহান শান্তা অস্ত্রোপচার করেন।
এক ঘণ্টার পর চিকিৎসক জানান, তাঁর অবস্থা ভালো না, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে। তারাই অ্যাম্বুলেন্সও নিয়ে আসে। সোগরা বেগমকে স্বজনরা রংপুরে না নিয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেন। সেখানকার চিকিৎসক জানান, রোগী আগেই মারা গেছেন। স্বজনেরা লাশ আবার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ক্ষুব্ধ স্বজনেরা ঘটনার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন।
সোগরা বেগমের বোন শাহজাদী বেগম জানান, সোগরার ভ্রুণ জরায়ুর বাইরে গর্ভনালিতে বড় হচ্ছিল। ডা. ওয়াজিরা শেফাত জাহান শান্তা তাঁর অস্ত্রোপচার করেন। এক ঘণ্টা পর বের হয়ে বলেন, রংপুরে নিতে হবে। এরপর ওপর তলায় চলে যান। অনেক ডাকাডাকির পরও নিচে নামেননি। পরে হাসপাতালের ম্যানেজারও পালিয়ে যান।
গ্রীন লাইফ ল্যাব অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক নাজমুল হুদা জুয়েল বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। রোগীকে কোনো চিকিৎসকই ইচ্ছে করে মারেন না। এটি একটি দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে বসে সমাধানের চেষ্টা চলছে।