
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ২২নং ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য তাওহীদুল আলম সজিবকে অতর্কিতভাবে হত্যার উদ্দ্যেশে হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার মামাতো ভাই রেজোয়ান আহমেদ উজ্জল।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ৯ টার দিকে নগরীর সিএন্ডবি কাজী পাড়ায় তার বাসায় ঢোকার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসী বিএম কলেজ বাকসুর সাবেক ক্রিয়া সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ফয়সাল আহমেদ মুন্না, কাজী রাজু, ও রমীজ কাজীর নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আহত তাওহীদুল আলম সজিব ওই এলাকার হারুন-অর রশিদের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে তাওহীদুল আলম সজিব তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে বিএম কলেজ বাকসুর সাবেক ক্রিয়া সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ফয়সাল আহমেদ মুন্না, কাজী রাজু, ও রমীজ কাজীর নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দা, রড নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। এ সময় তার সাথে থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ৭৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তার ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানাযায় যে,ফ্যাসিস্ট আমল থেকে এলাকায় ফয়সাল আহমেদ মুন্না,রমিজ ও রাজুর সন্ত্রাসী বাহীনী এলাকার জমি জমা বিক্রির নিয়ন্ত্রন,চাদাবাজি ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন- অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য- কাজী রমিজ চৌমাথা এলাকার আলোচিত মেহেদী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী।