ঢাকারবিবার , ৮ জুন ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কীর্তনখোলা ১০ ল*ঞ্চে*র রু*ট পারমিট স্থ*গিত

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুন ৮, ২০২৫ ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রীবাহী কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার রাতে লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত আদেশ জারি করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর আগে শুক্রবার রাতে লঞ্চের মালিক মনজুরুল ইসলাম ফেরদৌসসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানা মামলা করে কোস্টগার্ড।

বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মুহম্মদ মোবরাক হোসেনের স্বাক্ষরিত রুট পারমিট স্থগিত আদেশে বলা হয়েছে, এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে। সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করার পর পোস্তগোলা ব্রীজ অতিক্রম করার আগে লঞ্চের একটি প্রপেলার ভেঙে যায়। বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানার পর বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম দায়িত্বরত মাস্টার শুক্কুর এবং ড্রাইভার মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তারা প্রপেলার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের মাস্টারকে যাত্রা বাতিল করে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিট্রা) লঞ্চের মাস্টারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে অনুরূপ নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি নির্দেশ অমান্য করে লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চালিয়ে শুক্রবার সকালে বরিশালে পৌঁছায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং ঈদ-উল-আযহায় ঘরমুখো যাত্রীদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। ফলে কর্তৃপক্ষের তথা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারতো। লঞ্চটির চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।

এর আগে শুক্রবার সকালে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে পৌঁছার পর যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্মচারীদের তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে তখন কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে গেলে লঞ্চের মালিক ফেরদৌস দলবলসহ কোস্টগার্ড ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসাদচরণ করেন।

সেই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মামলা করেন কোস্টগার্ডের কমান্ডার শাহ-জালাল। এরপরে গ্রেপ্তার হয়েছেন কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের ম্যানেজার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন এবং মাস্টার শুকুর আলী। মামলা এবং গ্রেপ্তারের একদিন পরে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চটির রুট পারমিট স্থগিত করল বিআইডব্লিউটিএ।’