
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা নূরুল আমিন নূরুল আমিন বলেছেন, ‘মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেঁচে আসছি। যতদিন বেঁচে আছি আর কোনোদিন এসি বাসে উঠব না। প্রয়োজনে লোকাল বাসে চলাচল করব তবু আর নাহ।‘চালক সময়ক্ষেপণ করলে আমাদের সকলকে কয়লা হয়ে যেতে হতো।’’ তিনি ঢাকা থেকে গ্রিন লাইন পরিবহনে বরিশালে ফিরছিলেন।
পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের সড়কে আসছে নামি-দামি পরিবহন প্রতিষ্ঠান। দুই বছর আগে যেসব রুটে নিয়মিত গাড়ি পাওয়া যেত না সেসব রুটে স্লিপার কোচ যুক্ত হয়েছে। সৌন্দর্য আর পরিবহনের আধুনিকায়ন করছেন স্থানীয় পরিবহন মালিকরা। তবে এসবই বাইরের চাকচিক্ক। ভিতরের অবস্থা খুবই খারাপ। যেনো সেই প্রবচন, ‘উপরে ফিটফাট, ভিতরে সদর ঘাট!’ উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ও হাইওয়ে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয় না। তারা মোটা ‘প্যাকেট’ বুঝেনিয়ে চুপ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানাগেছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে বাতিল বাসগুলো মেরামত করে বরিশাল রুটে নামানো হয়। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছেম চলন্ত গাড়িতে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এর কারণ জানতে সংশ্লিষ্ট কোনো দফতর মাথা ঘামায় না। আর পরিবহন কর্তৃপক্ষও বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে সাধারণত তদন্ত কমিটি গঠন করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। রহস্যজনক কারণে আলোচিত অগ্নিকান্ডের তিনটি ঘটনার একটির তদন্ত করেনি বরিশাল ফায়ার সার্ভিস। অথচ প্রতিটি ঘটনায় অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা কাজ করেছেন। এদিকে হাইওয়ে পুলিশ ‘প্যাকেট’ বুঝে নিয়ে চুপ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসের ইঞ্জিন থেকে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বিআরটিসি বরিশাল ডিপোর মেকানিক শহিদুল্লাহ বলেন, ইঞ্জিন থেকে গাড়িতে আগুন লাগতে পারে না। ৪২ বছরের অভিজ্ঞতায় কোনো দিন দেখিনি ইঞ্জিন দিয়ে গাড়িতে আগুন লেগেছে। ইঞ্জিনে ত্রুটি হলে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু কখনোই আগুন লাগবে না।