ঢাকাসোমবার , ৭ জুলাই ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাকরাইলে জলকামান-সাউ*ন্ড গ্রে*নে*ডে ছত্রভ*ঙ্গ চাকরি*চ্যু*ত বিডিআর সদস্যরা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ৭, ২০২৫ ৩:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কাকররাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় পুলিশ। কিন্তু সেই আহ্বানে তারা সাড়া না দিলে বেলা সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ জলকামানের পানি ও কমপক্ষে ৬টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশসহ আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজনকে আটকও করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে আন্দোলনকারীদের মৎস্যভবনের দিকে নিয়ে যায়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক সাবেক বিডিআরের সদস্য বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ ঘটিয়েছে শেখ হাসিনা ভারতের সৈনিক দিয়ে। আর দোষ চাপানো হয়েছে নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের ওপর। আমরা আমাদের দাবিতে অনড়। আমাদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন থেকে সরে আসবো না।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাবেক বিডিআর সদস্যের এক স্বজন বলেন, আমরা চাই অন্যায়ভাবে যাদের জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক। অনেকের সাজা শেষ হয়ে গেছে তারপরও তাদের ছাড়া হচ্ছে না। যাদের এখনো চাকরির বয়স রয়েছে তাদের যেন যথাযথ সম্মানে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আর পিলখানা হত্যাকাণ্ড কেন ঘটল এর সুষ্ঠু একটি বিচার হোক এর পেছনে কারা কারা রয়েছে তা বের করে আনা হোক জাতির সামনে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আরেক আন্দোলনকারী বলেন, বাহিনীর কিছু মাথাকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এই হত্যাকাণ্ডের নীল নকশা আঁকেন। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একদিকে ধ্বংস করা হয়েছে সেনাবাহিনীকে অন্যদিকে ধ্বংস করা হয়েছে বিডিআরকে। আমাদের চাকরি পূর্ণবহাল না করা হলে আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসবো না। সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক সাবেক বিডিআরের সদস্য বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ ঘটিয়েছে শেখ হাসিনা ভারতের সৈনিক দিয়ে। আর দোষ চাপানো হয়েছে নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের ওপর। আমরা আমাদের দাবিতে অনড়। আমাদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন থেকে সরে আসবো না।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাবেক বিডিআর সদস্যের এক স্বজন বলেন, আমরা চাই অন্যায়ভাবে যাদের জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক। অনেকের সাজা শেষ হয়ে গেছে তারপরও তাদের ছাড়া হচ্ছে না। যাদের এখনো চাকরির বয়স রয়েছে তাদের যেন যথাযথ সম্মানে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আর পিলখানা হত্যাকাণ্ড কেন ঘটল এর সুষ্ঠু একটি বিচার হোক এর পেছনে কারা কারা রয়েছে তা বের করে আনা হোক জাতির সামনে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আরেক আন্দোলনকারী বলেন, বাহিনীর কিছু মাথাকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এই হত্যাকাণ্ডের নীল নকশা আঁকেন। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একদিকে ধ্বংস করা হয়েছে সেনাবাহিনীকে অন্যদিকে ধ্বংস করা হয়েছে বিডিআরকে। আমাদের চাকরি পূর্ণবহাল না করা হলে আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসবো না। সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

এদিকে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করার আগে ডিএমপির রমানা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি যমুনায় পাঠানোর আহ্বান জানান। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের কাকরাইল মসজিদ থেকে সরে যেতে ১০ মিনিটের আল্টিমেটাম দেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাতে সাড়া না দিয়ে একই জায়গায় আবস্থানের ঘোষণা দিলে পুলিশ বল প্রয়োগ শুরু করে।

আরও পড়ুন

গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনাকে অব্যাহতির আবেদন স্টেট ডিফেন্সের
১০ জুলাই এসএসসি ফল প্রকাশের সম্ভাবনা, চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ রাইট ট্র্যাকে উঠবে : মির্জা ফখরু‌ল
এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় শাহবাগ মোড় থেকে যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে আসেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। মিছিলটি কাকরকাইল মসজিদ মোড়ে এলে সেখানে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে তারা সেখানে অবস্থান নেন।

তাদের তিন দফা দাবি হলো- চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুর্নবহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিভিন্ন ধারা বাতিল এবং বিডিআর নাম পুর্নবহাল ও কারাগারে বন্দি থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি।