ঢাকাসোমবার , ৭ জুলাই ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈ*ঠ*কে অধিদপ্তর, ফলপ্র*সূ না হলে কর্মসূচি চলবে

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ৭, ২০২৫ ৪:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন ও পেশাগত মর্যাদার দাবিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করেছেন সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর ফলে সকাল থেকেই একরকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এদিকে আন্দোলনরত এসব শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলতে পাঁচজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে তাদের কর্মসূচি আরও কঠোর হবে এবং তা ধারাবাহিকভাবে চলবে।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বৈঠক শুরু হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলমান রয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের পক্ষ থেকে পাঁচজনকে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- আহসান হাবীব (৩০তম ব্যাচ-বিএএমএস), নাইমুর রহমান (৩১তম ব্যাচ-বিইউএমএস), জুবায়ের হোসেন মিশন (৩১তম ব্যাচ-বিইউএমএস), আপন আহম্মেদ (৩২তম ব্যাচ-বিএএমএস) এবং আনিকা তাবাসসুম (৩১তম ব্যাচ-বিইউএমএস)।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, আলোচনা ব্যর্থ হলে আন্দোলন আরো কঠোর হবে। সাজিদ নামক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আলোচনা চলাকালীন কর্মসূচির বিরতি দিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে ৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে গিয়েছে। তারা আলোচনার ফল নিয়ে ফিরে এলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবো। যদি এই আলোচনা ফলপ্রসূ না হয়, তা হলে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব—আর তা হবে আরো কঠোর, ধাপে ধাপে কঠোর থেকে কঠোরতর।
এদিকে আন্দোলনকারীরা বারবার তাদের দাবি স্পষ্ট করে বলেছেন—স্বতন্ত্র ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক কাউন্সিল গঠন, বিতর্কিত সরকারি চিঠি প্রত্যাহার এবং পেশাগত মর্যাদার আইনি স্বীকৃতি না পেলে তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

এর আগে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের একজন প্রতিনিধি জুবায়ের আহসান অভিযোগ করে বলেন, সরকারের একটি চিঠির মাধ্যমে চিকিৎসা শিক্ষায় বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে এবং একটি অসাধু গোষ্ঠী এ সুযোগে নীতিবহির্ভূত ডিগ্রি দিয়ে ও স্বীকৃতি আদায়ের পাঁয়তারা করছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আলোচনা সফল না হলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি।