
নিউজ ডেস্ক :: সরবরাহ কম থাকার পাশাপাশি চাঁদাবাজি ও ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় দেশে বর্তমানে ইলিশের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এখন ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকার ওপরে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ইলিশের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে উপদেষ্টা জানান, সরবরাহ কম, এটা প্রধান কারণ। ঢাকায় ইলিশ এখনো সেভাবে আসেনি। আর চাঁদাবাজিও আছে, এটা এখনো বন্ধ করা যায়নি। এ ছাড়া ডিজেলের দামও বেশি।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। এ বছর জাটকা রক্ষা সপ্তাহসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে ইলিশ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। ১২ জুন থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আহরিত হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মডেল অনুযায়ী ২০২৪-২৫ সালে বাংলাদেশের ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন হতে পারে। কিন্তু এটাও সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মতো উৎপাদন হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে প্রকৃত উৎপাদন আরও কম হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ দিয়ে জাটকা রক্ষায় যৌথভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছি; কিন্তু নির্বিচার জাটকা নিধন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা যায়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নদীর নাব্য হ্রাস এবং নদীদূষণ, বৃষ্টিপাত সময় মতো না হওয়া, মাত্রাতিরিক্ত তাপ ইত্যাদি। গত দু-এক সপ্তাহে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে জেলেরা মাছ ধরতে যেতে পারেনি। তবে যারা যেতে পারছে, তারা মাছ পাচ্ছে।


