
নিজস্ব প্রতিনিধি :: দূর্নীতি ও অনিয়মের আতুর ঘরে পরিনত হয়েছে পটুয়াখালী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন ও উন্নয়ন খামারটি,আঞ্চলিক সহকারী উপপরিচালক ডা.আতিকুর রহমানের সরাসরি তত্বাবধানে হাঁসের খাদ্য সরবরাহের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ঠিকাদারের।গত ২১-০৭-২০২৫ইং তারিখে ঢাকা ও বরিশাল থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় পটুয়াখালী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে হাঁসের খাদ্য সরবরাহের দরপত্রে অংশগ্রহণে বাঁধা ও সর্বনিম্ন দরদাতাকে হটিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়, এ বিষয়ে আরও অধিকতর অনুসন্ধানে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।গত ৭-০৭-২০২৫ইং তারিখে ছিলো উক্ত প্রতিষ্ঠানে হাঁসের খাদ্য সরবরাহ দরপত্র আহ্বান ও নমুনা/স্যাম্পল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ, এ দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে থাকে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, একটি হলো পটুয়াখালীর স্থানীয় ঠিকাদার মোঃ কাউছার হোসেন আকাশের মালিকানাধীন মেসার্স কাশফুল এন্টারপ্রাইজ ও ঢাকা সাভারের মোঃ বাবুলের মেসার্স মাহিয়ান বিল্ডার্স।বিষয়টি আগে থেকেই অবগত ছিলেন পটুয়াখালী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডাঃ আতিকুর রহমান, তিনিও পটুয়াখালীর সন্তান তার গ্রামের বাড়ি বাউফল উপজেলায় ফলে দুজনই স্থানীয় হওয়ার সুবাদে ঠিকাদার কাউছারের সাথে একটি গোপন আতাত করে মাহিয়ান বিল্ডার্স’কে এই কাজ থেকে দুরে রাখতে। পরিকল্পনা মতে মাহিয়ান বিল্ডার্স এর পশুখাদ্যর স্যাম্পল /নমুনা জমা দানে বাঁধা দিয়ে দরপত্রের শর্ত মোতাবেক অযোগ্য ঘোষণা করে একক ভাবে কাশফুল এন্টারপ্রাইজকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সেই লক্ষ্যে গত ৭-০৭-২০২৫ইং তারিখে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সামনে ঠিকাদার কাউছার হোসেন আকাশের লোকজন মাহিয়ান বিল্ডার্স এর প্রতিনিধি মো:আঃসালাম’কে আটকে রেখে স্যাম্পল/নমুনা ছিনিয়ে নেয়,পরবর্তীতে ছাড়া পেয়ে সালাম বাদি হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি জিডি করে।এদিকে পিপিআর২০০৮আইন অনুযায়ী দরপত্র সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ উঠলে তার নিষ্পত্তি না হলে সে ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না,অথচ এই দরপত্রের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক আগেই গত ২০-০৭-২০২৫ইং তারিখে ঢাকা থেকে কাজটি পাশ করানো হয়,যা একেবারেই অস্বাভাবিক ।এদিকে এ বিষয়ে পরিচালক(উৎপাদন) ড.খালেদুজ্জামানের সাথে গত ২১-০৭-২০২৫ইং তারিখে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই, আমার নিকট কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি , আমি এখনই কাজটির ব্যাপারে পূণরায় সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।অন্যদিকে পটুয়াখালী আঞ্চলিক সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডাঃ আতিকুর রহমানের নিকট ২২-০৭-২০২৫ইং তারিখে পরিচালক (উৎপাদন)’কে বিষয়টি জানিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেন নি।এ দিকে বিষয়টি নিয়ে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড.মোঃ আবু সুফিয়ান এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কর্তাব্যাক্তিরা,এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব, এরই মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে শর্ষের মধ্যে ভূত!ফলে ৭তারিখের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানো ব্যাক্তিদের আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন ডাঃ আতিকুর রহমান (চলবে)