ঢাকারবিবার , ১০ আগস্ট ২০২৫

‘৮ উপদেষ্টার দু*র্নী*তি নিয়ে সাবেক সচিবের অভি*যোগ ভি*ত্তি*হী*ন’

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ১০, ২০২৫ ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ নিজের কাছে থাকার দাবি করেছেন সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কারও অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকলে তা যথাযথ আইনি ও তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আবদুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আবদুস সাত্তার বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি।

বিবৃতিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, ‘আমরা এ অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের শনাক্ত না করে ঢালাওভাবে অভিযোগ করা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনআস্থার জন্য ক্ষতিকর।’

অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ নিজের কাছে রয়েছে বলে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে দাবি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

বিসিএস ৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার বলেন, আমি খুবই হতাশ। আমলাদের চরিত্র না হয় খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে পারবো। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আট উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

এ আট উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও বদলি হয় না বলে সাত্তার দাবি করলেও ওই উপদেষ্টাদের নাম বলেননি তিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের প্রশাসন স্বচ্ছতা, সততা এবং জবাবদিহির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি আব্দুস সাত্তারের কাছে কোনো অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকে, আমরা তাকে যথাযথ আইনগত ও তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তা দ্রুত জমা দেওয়ার আহ্বান জানাই।

বিবৃতিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যতক্ষণ না এমন প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে, আমরা সব অংশীজনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, জনপরিসরের আলোচনা অনুমান নয়, বরং তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া সমীচীন।’