ঢাকাসোমবার , ১১ আগস্ট ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাবেক স্ত্রীকে ওড়না পেঁ*চি*য়ে হ*ত্যা*র ঘটনায় যুবক গ্রে*প্তা*র

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ১১, ২০২৫ ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: সাবেক স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার ঘটনায় মো. শফিকুল ইসলাম কাজী (২৬) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ।
রোববার (১০ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ভিকটিম সুমি আক্তার (২১) ও মো. শফিকুল ইসলাম কাজী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে গত ৩০ জুন সুমি আক্তার তার স্বামীকে তালাক দেন। তালাকের পরও উভয়ে পাশাপাশি বাসায় বসবাস করতেন এবং তাদের মধ্যে তালাক নিয়ে বিরোধ অব্যাহত ছিল। তাদের একমাত্র সন্তান বাবার কাছে থাকতো এবং সুমি আক্তার মাঝেমধ্যে খাবার নিয়ে গিয়ে সন্তানকে খাইয়ে দিতেন।
তালেবুর রহমান জানান, গত ২১ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় কাফরুলের ইমামনগর এলাকায় সুমি আক্তার যথারীতি ছেলের জন্য খাবার নিয়ে তার সাবেক স্বামীর বাসায় যান এবং সন্তানসহ একসঙ্গে রাতের খাবার খান। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে শফিকুল রুমে তালা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ছেলে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় তাদের প্রতিবেশী সামিয়া আক্তার ও তার স্বামী রাসেল খেয়াল করলে শফিকুল তার ছেলেকে রেখে চাবি নিয়ে পালিয়ে যান। প্রতিবেশীরা তখন বাসার মালিক মো. হায়দার আলীকে ডেকে আনেন কিন্তু শফিকুলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, পরদিন (২২ জুলাই) সকাল ৯টায় উপস্থিত লোকজনের সামনে বাসার মালিক শফিকুলের বাসার তালা ভেঙে প্রবেশ করে দেখেন লাল-সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ঢাকা অবস্থায় সুমি আক্তারের লাশ খাটের নিচে পড়ে আছে এবং গলায় ওড়না পেঁচানো রয়েছে। তাৎক্ষণিক কাফরুল থানায় সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় ডিএমপি কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ডিএমপি কাফরুল থানার একটি চৌকস টিম মদনগঞ্জ নৌ-পুলিশের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কলাগাছিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে শফিকুলকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।